মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু (Jadavpur University Student Death) ঘিরে এখনও উত্তাল রাজ্য। এরই মধ্যে দুর্গাপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে দানা বাধল রহস্য! ৩ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর, ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ মিলল হস্টেলেরই বন্ধ ঘরে!

সন্তানকে হারিয়ে বুক ফাটা কান্না, আরও এক বাবার। মৃত ছাত্রের নাম সৌরভ রায়। বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। ২২ বছরের, ছোট ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দুর্গাপুরে (Durgapur Engineering College) পাঠিয়েছিলেন ফল ব্যবসায়ী বাবা সুরেন্দ্র রায়। বিধানচন্দ্র রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন সৌরভ। থাকতেন হস্টেলে।


পরিবারের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বুধবার তাদের ফোন করে জানানো হয়, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না সৌরভের।বৃহস্পতিবার ভোরে, তাঁর বাবা দুর্গাপুরে চলে আসেন। ওই দিন বিকেলে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। এরপরই আসে পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধারের খবর। তবে যে ২১৯ নম্বর ঘরে ছাত্রটি থাকতেন, তার উপর তলায় অব্যবহৃত ৩১৬ নম্বর ঘর থেকে মেলে তাঁর ঝুলন্ত দেহ।


হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, যে ঘর থেকে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ডিন অফ স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার রাজদীপ রায় বলেছেন, 'রুমগুলি যেহেতু আমরা অ্যালটমেন্ট করিনি, সেই কারণে লক অ্যান্ড কি অবস্থায় ছিল। ভিতরে ঢুকল কী করে? সেটা তদন্তসাপেক্ষ। ওই ফ্লোরে সিসিটিভি (CCTV Camera) নেই, প্রথম বর্ষ যেখানে আছে, সেখানে আছে। ওই ফ্লোরে লাগাব বলেই কাজটা শুরু করেছি।'


সহপাঠীর মৃত্যুর পর, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন হস্টেলের আরেক আবাসিক। আত্মহত্যা করেছেন বলেই বক্তব্য তাঁর। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশ সূত্রেরও অনুমান, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত ছাত্রের বাবা সুরেন্দ্র রায়ের পাল্টা অভিযোগ, বলছে সুইসাইড করতে পারে। কোনও নোট নেই। আমার মনে হয় না ছেলে সুইসাইড করতে পারে। আমার ডাউট আছে, এর সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত।


হস্টেলের যে ঘরে মৃত ছাত্র থাকতেন, এদিন সেই ২১৯ নম্বর ঘরটি দেখেন তদন্তকারীরা। আশ্চর্যের বিষয়, ঘরের দরজা বাইরে থেকে হ্যাচবোল্ট লাগানো থাকলেও, তা সহজেই ধাক্কা মেরে খোলা গেল। আবার ভিতর দিয়ে দরজার দুই পাল্লা ঠেলে দিলে, বাইরে থেকে মনে হবে, দরজা একই রকমভাবে বন্ধ। অভিযোগ, ঠিক একইরকম অবস্থা ৩১৬ নম্বর ঘরেরও ! ফলে প্রশ্ন উঠছে, ছাত্র কি নিজে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন ?
তারপর কি আত্মঘাতী হন ? না কি, অন্য কেউ তাঁকে খুন করে দরজা বন্ধ করে দিয়ে গেছেন ? যাতে বাইরে থেকে কারও কোনও সন্দেহ না হয় !আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের (Post Mortem Report) দিকে তাকিয়ে আছেন তদন্তকারীরা।


আরও পড়ুন- 'যাঁকে টিভিতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন?' শুভেন্দুকে নিশানা জীবনকৃষ্ণর









 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial