কলকাতা: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃত শেখ নাসিরউদ্দিনের বাবা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা এবং নাসিরউদ্দিন দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে না আসায় তিনি লজ্জিত। নির্যাতিতার চিকিৎসা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ করেন,তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে এ রাজ্যে রাখতে পরিবার রাজি নয় বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী

Continues below advertisement

আরও পড়ুন,  'ভুটানের জলে ক্ষতি হয়েছে, আমরা চাই ওরা ক্ষতিপূরণ দিক', উত্তরবঙ্গে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Continues below advertisement

দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের TMC যোগ, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

এদিন শুভেন্দু বলেন,  মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যে গ্রেফতার হয়েছে, নাসিরউদ্দিন, তিনি দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী। তৃণমূলের ক্যাডার। ওনার বাবা পার্টির পোর্ট ফোলিও হোল্ডার। এই ঘটনার সঙ্গে এতদিন অনেক তত্ত্ব চলছিল, আজকে আরেকচা নতুন তত্ত্ব যুক্ত হল। যে এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারিই যুক্ত। স্বাভাবিকভাবে, শাসক যেখানে শোষক, ...তিনি হলেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি জানেন সব কিছুই।'

দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণকাণ্ডে পঞ্চম গ্রেফতারি

দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণকাণ্ডে পঞ্চম গ্রেফতারি।গতকাল শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি ও ফিরদৌস শেখ নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ শেখ নাসিরউদ্দিন ও সফিকুল শেখ নামে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত নাসিরউদ্দিনের বাড়ি IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজের পাশেই বিজড়া গ্রামের তিনপাড়ায়। গতকাল যে ৩ জন গ্রেফতার হয়, তারাও বিজড়া গ্রামের ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের স্ক্যানারে নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও।

ঠিক কী হয়েছিল দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ?

দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় বর্ষের MBBS পড়ুয়া ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ক্যাম্পাসের বাইরে সহপাঠীর সঙ্গে খেতে যান ওই ছাত্রী। অভিযোগ, ফেরার সময় ২-৩ জন যুবক তাঁদের পথ আটকায়। একজন ডাক্তারি পড়ুয়ার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। আরেকজন তাঁকে নির্জন জায়গায় টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে নির্যাতিতার সঙ্গী তাঁকে ওই মেডিক্যাল কলেজেই ভর্তি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত চলছে। নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে নির্যাতিতার সঙ্গীর ভূমিকাও।