কলকাতা: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জোর নিশানা বিজেপি সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজের। এদিন তিনি বলেন, এক দলিত বাচ্চার গণধর্ষণ হয়েছে। সে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। সে সন্ধ্যায় সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাইরে বেরিয়েছিল। মনেহয়, ডিনারে যাবার পরিকল্পনা ছিল ওই ছাত্রীটির। এবং ৪ জন তাঁর সঙ্গে দুষ্কর্মে লিপ্ত হয়। এতটাই ঘৃণার কাজ করেছে, যাতে যেকেউই শিউরে উঠবে।'
আরও পড়ুন, 'ধৃতর বাবা তৃণমূলের স্থানীয় নেতা' ! দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের TMC যোগ, বিস্ফোরক শুভেন্দু
'মুখ্যমন্ত্রী এই গণধর্ষণকাণ্ডে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছেন' !
বিজেপি সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ আরও বলেন,' রাজ্যের সুরক্ষার দায়িত্ব তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, যিনি খোদ নিজেই রাজ্যের হোমমিনিস্টারও বটে। প্রত্যেক মহিলাই যেনও যে কোনও সময় বেরোতে পারে, সেই দায়িত্ব তাঁরই। ওনার থেকে এটাই আশা করা হয় যে, তিনি রাজ্যকে এতটাই সুরক্ষিত করে দেবেন, যে মহিলারা যে কোনও সময়েই বাইরে বের হতে পারবেন, নির্ভয় হয়ে। ..সেখানে এই গণধর্ষণ ঘটনায় সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছেন। '
'এটাই প্রথমবার নয়, এটা একটা পুরো প্যাটার্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে..'
তিনি আরও বলেন, 'এটাই প্রথমবার নয়। এটা একটা পুরো প্যাটার্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনাদের মনে থাকবে, ২০১২ সালে পার্কস্ট্রিটে খুবই নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন কী বলেছিলেন ? আরও একবার তিনি নির্যাতিতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বলেছিলেন, সাজানো ঘটনা। এবার হাঁসখালিকাণ্ডের কথা বলি। নাবালিকার সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেছিলেন ? পুরো ঘটনাটাকেই ট্রিভিলাইজড করে কী বলেছিলেন, এটা একটা প্রেমের ঘটনা ! আরজিকরকাণ্ডে বলেছিলেন, ধর্ষণের ঘটনা তো হতেই থাকে। এখন ছেলে মেয়েরা হাতে হাত ধরে ঘোরাফেরা করে, আগে যদি এমন দেখতে পাওয়া যেত, তখন তাঁদের বকাঝকা করা হত।..'
দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণকাণ্ডে পঞ্চম গ্রেফতারি
দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণকাণ্ডে পঞ্চম গ্রেফতারি।গতকাল শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি ও ফিরদৌস শেখ নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ শেখ নাসিরউদ্দিন ও সফিকুল শেখ নামে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত নাসিরউদ্দিনের বাড়ি IQ সিটি মেডিক্যাল কলেজের পাশেই বিজড়া গ্রামের তিনপাড়ায়। গতকাল যে ৩ জন গ্রেফতার হয়, তারাও বিজড়া গ্রামের ডাঙাপাড়ার বাসিন্দা। এর পাশাপাশি গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের স্ক্যানারে নির্যাতিতার সহপাঠীর ভূমিকাও।