মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফাঁকা গাড়ি। তবুও দিতে হচ্ছে টোল। দীর্ঘদিন ধরেই ছিল এমন অভিযোগ। অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল রবিবার। বেআইনিভাবে টোল নেওয়ার অভিযোগে, টোল প্লাজা ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও গাড়িমালিকরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর রাতুড়িয়া শিল্পতালুকের একটি টোল প্লাজা। ওই এলাকা দুর্গাপুর কোকওভেন থানার অন্তর্গত। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ফাঁকা গাড়িতে টোল নেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে টোল নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও ওই টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
 
দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন গ্যামন ব্রিজ মোড়ের কাছে রয়েছে হ্যানিম্যান সরণি। সেই রাস্তার উপরেই রয়েছে ওই টোল প্লাজা। গাড়িচালক ও গাড়ির মালিকদের অভিযোগ, প্রতিদিন খালি গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হয় সেখানে। প্রতিবাদ করলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে টোল প্লাজার কর্মীরা হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ গাড়ির মালিকদের। 


রবিবার সকালে গাড়ির মালিক ও চালকরা একসঙ্গে টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। কিছুক্ষণের জন্য আটকে দেওয়া হয় সমস্ত গাড়ি। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। পুলিশ আশ্বাস দেওয়ার ঘণ্টাখানেক পর বিক্ষোভ তোলেন তাঁরা। গাড়িমালিকদের অভিযোগ, সরকারের তরফে ওভারলোড গাড়ি চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই নির্দেশ তাঁরা শুনছেন। কিন্তু, অঙ্গদপুরের এই টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ জোর খাটিয়ে ফাঁকা গাড়ি থেকে টোল আদায় করায় তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে দাবি গাড়ি চালকদের। এমন চলতে থাকলে তাঁরা শিল্পতালুকে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।


এই টোল প্লাজা দুর্গাপুর পুরনিগমের অধীনে রয়েছে। লিজের ভিত্তিতে বেসরকারি এজেন্সির হাতে টোল প্লাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। দুর্গাপুর পুরনিগমের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শহরের সবকটি টোল প্লাজা নিয়ে কমবেশি দুর্নীতির অভিযোগ মাঝেমধ্যে আসে। শীঘ্রই কম্পিউটার চালিত টোল প্লাজা সিস্টেম শুরু হবে, সেটা হলেই পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতি মুক্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় শাসক শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। তৃণমূল পরিচালিত পুরনিগম প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিত দত্ত।


আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি, সন্দেশখালিতে জালবন্দি হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার