শান্তনু নস্কর, সন্দেশখালি: দার্জিলিঙে (Darjeeling) মগডালে চিতাবাঘ। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandheskhali) জালবন্দি হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। রবিবার সকালে বাঘের (Tiger) হানায় আহত হন একজন। টানা ৯ ঘণ্টার চেষ্টায় বাঘটিকে ট্যাঙ্কুলাইজ (Tranc করে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় বাগনা রেঞ্জে।


ঘন সবুজ জঙ্গলের মাঝে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হলুদ কালো ডোরাকাটা শরীর। জাল দিয়ে ঘেরা জঙ্গল লক্ষ্য করে ছোড়া হল পরপর তিনটে গুলি। কয়েকমুহূর্ত ছটফট। তারপর খানিক স্বস্তির সুরেই বলা যায় বাঘ ঘুমোলো, পাড়া জুড়োলো। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে জালবন্দি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গত ২ মাস ধরে বারবার দক্ষিণরায়ের বাহনের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে জল-জঙ্গলের জেলার মানুষের। রবিবার সকালে রায়মঙ্গল নদী পেরিয়ে আমতলির চিমটা হয়ে সন্দেশখালির মণিপুরের জঙ্গলে ঢোকে বাঘটি।


‍‍ঘড়িতে তখন সকাল ৮ টা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নদীর পাশেই তখন ঘাস কাটছিলেন জনৈক ছয়রাব কারিগর ও তাঁর স্ত্রী। আচমকা ছয়রাবের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। হাতে থাকা কাস্তে দিয়ে তাড়া করে স্বামীকে বাঁচান স্ত্রী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মীরা। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় নদীর পাশের জঙ্গল। বিকেল ৫টা নাগাদ ট্যাঙ্কুলাইজ করা যায় বাঘটিকে।  গ্রামে ফেরে স্বস্তি। সন্দেশখালির মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, সাড়ে ৮টা দিকে প্রশাসনের লোকজন আসে। জালবন্দি বাঘটিকে চিকিৎসার জন্য নদী পেরিয়ে বাগনা রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।


এদিকে দার্জিলিঙের নকশালবাড়ির ভারত-নেপাল সীমান্তের মেচি নদীর ধারে গাছের মগডালে চিতাবাঘটিকে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।খবর পেয়ে, বন দফতরের বিশেষ টিমের পাশাপাশি আসে টুকুরিয়া বন দফতরের কর্মী ও SSB জওয়ানরা। তারপর টানা ৩ ঘণ্টার লড়াই! দক্ষযজ্ঞ পরিস্থিতি বললেও বিন্দুমাত্র বাড়িয়ে বলা হয় না। ততক্ষণে আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে এসেছেন স্থানীয়রা। রীতিমতো ভিড় জমে যায়। গাছ কেটে ফেলতেই দৌড়ে পালাতে যায় চিতাবাঘটি। আশ্রয় নেয় কাছেই একটি ঝোপে। সেইসময় তাকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন বন কর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, জালে পড়ার পর শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিতাবাঘটিকে। শেষমেশ স্বস্তি ফেরে এলাকায়।


আরও পড়ুন: WB Corona Cases: একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ২৭৮ জন, সংক্রমণের হার ১ শতাংশের নিচে