মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শহরের রাস্তা যেন নদীর রূপ নিয়েছে। ডুবে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। রাতভর বৃষ্টিতে ভয়ানক পরিস্থিতি দুর্গাপুর শহরের ১৯,২০, ২১ নম্বর ওয়ার্ড। জল জমেছে ১৩-১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও।
রাতভর বৃষ্টির জেরে সেপকো টাউনশিপের একাংশ, সরকারি মহাবিদ্যালয়েরপাশের বস্তি, এনআইটির সামনের রাস্তা যা কি না প্রায় ৫৪ ফুট, সারদাপল্লী, শ্রীনগরপল্লী, আনন্দপুরী, মেন গেটের একাংশ সহ বহু জায়গা কার্যত জলের তলায়। এনআইটির সামনের রাস্তায় বাইক ভেসে যেতে দেখা যায়। ৫৪ ফুট থেকে চারচাকা গাড়ি ভাসতে ভাসতে চলে আসে তপোবন এলাকায়।
এই গাড়ি জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ধরে রাখতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকেও। জানা গিয়েছে সরকারি মহাবিদ্যালয়ের, শ্রেণীকক্ষ ও শৌচাগার খুলে দিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশের দুটি বস্তি থেকে জলমগ্ন মানুষজনকে কলেজে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেপকো টাউনশিপের জলমগ্ন বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জল জমেছে তবে এই রকম জল আগে কোনদিন দেখেননি।
আরও পড়ুন, বেলেঘাটায় পরিত্যক্ত কারখানায় আগুন, এলাকায় আতঙ্ক
এদিকে, বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। তবে তার অভিমুখ তামিলনাড়ু ও পণ্ডিচেরি উপকূলের দিকে। বাংলায় সেভাবে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। কাল পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এরপর শুকনো আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গেও একই পরিস্থিতি। পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হলেও, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বেলা বাড়লে সম্পূর্ণ মেঘলা আকাশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা আজও। বাতাসে এখনও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। ফলে গুমোট ঘর্মাক্ত অস্বস্তি আরও ৪৮ ঘণ্টা। রবিবার থেকে হওয়া বদল হবে। ক্রমশঃ শুষ্ক হবে আবহাওয়া। কালীপুজো এবং দীপাবলিতে এই মরসুমের প্রথম শুষ্ক হিমেল পরশ পাওয়া যাবে বলেও জানান হয়েছে। মূল শীত আসতে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ, এমনটাই জানান হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে