দুর্গাপুর: পাট্টা দেওয়ার (Land Patta) নাম করে সরকারি জমি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। দুর্গাপুরে (Durgapur) কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা (TMC)। আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েথে পুলিশের কাছে। দুর্নীতির অভিযোগ মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। আসানসোল পুরভোটের আগে সেই নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার কাছে লালসায়র দিঘি এলাকার ঘটনা। ফাঁকা জমিতে তৈরি হয়েছে একের পর এক বাড়ি। জায়গায় জায়গায় ফাঁকা জমির উপর ইঁটের গাঁথনি তুলে দেওয়ালও দেওয়া হয়েছে। প্লট হিসেবে সেগুলি দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সব জমি সরকারি জমি, যার মালিক আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পাট্টা দেওয়ার নাম করে সেগুলি বিক্রি করে দিচ্ছেন এলাকার তৃণমূল নেতা খোকন রুইদাস।
এই নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পাশাপাশি, আসানসোনল-দুর্গাপুর কমিশনারেটেও অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। বলা হয়েছে, টাকার বিনিময়ে বাড়িতে বাড়িতে হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। দিন কয়েক আগেই সেই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, ফোন ধরেননি তিনি।
আরও পড়ুন: WB Municipal Elections: মমতা দূরদর্শী, মানুষের নাড়ি বোঝেন, টিকিট পেয়ে বললেন সব্যসাচী
স্থানীয়দের দাবি, ২০১৪ সালেও সরকারি জমি বিক্রি করার দায়ে গ্রেফতার হন খোকন। তার জেরে দল থেকে বহিষ্কৃতও হন। ২০১৬ সালে দলে ফিরে আসেন। সম্প্রতি ফের সেই কাজই শুরু করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও খোকনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। সেখানকার বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুচলেকা দিয়ে দলে ঢুকেছিল। আবার সেই কাজ করছে। ফের জেলে যাবে ও।”
কিন্তু দলের প্রশ্রয় ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না বলে অভিযোগ বিজেপি (BJP) নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের। তাঁর বক্তব্য, “আগেও যদি এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, তাহলে এ বার এখনও গ্রেফতার হননি কেন ওই নেতা? আসলে সবাই ভাগ নিচ্ছে। তাই কিছু বলছে না। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।”
সিপিএম (CPM) নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “সরকারি জমি বিক্রি করে তৃণমূল নেতারা নিজেদের পসার বাড়াচ্ছে। সরকারি আবাসন, রাষ্ট্রায়াত্ত কারখানার বন্ধ আবাসন, সবের দখল নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে ওরা।” খোকনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন সকলে।