কলকাতা: ইনসাফের দাবিতে ব্রিগেড সমাবেশ বাম যুব সংগঠনের। আর DYFI-এর এই সমাবেশে উঠে এল চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন থেকে, চাকরির দাবিতে চুল কেটে নেওয়ার মতো ইস্যুও। চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি না পেলে কীভাবে সরকারি স্কুল চলবে? কীভাবে বাংলার ছাত্ররা সরকারি স্কুলে পড়বে? সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন DYFI  রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। 


চাকরির দাবিতে কী বার্তা মীনাক্ষীর?


দুর্নীতির প্রতিবাদ ও চাকরির দাবিতে DYFI-এর ডাকে আজ ইনসাফ ব্রিগেড। মঞ্চে জাতীয় পতাকা। রয়েছে যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেড লেখা ব্যানার। লাল-সাদা নিশানে মোড়া মাঠ। ২০০৮-এর পর, প্রায় ১৫ বছর পর ব্রিগেডে সমাবেশ করছে CPM-এর যুব সংগঠন। এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “অসংখ্য চাকরিপ্রার্থীরা যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বসে আছে। হবু শিক্ষিকা চোখের জলে নিজের চুল অন ক্যামেরা শুধুমাত্র একটা সরকারের অপদার্থতা, চাকরি চুরি, চাল চুরির জন্য নামিয়ে নিতে বাধ্য হল। তাঁর চোখের জলের দায় নেবেন না? যদি ওঁরা চাকরি না পায়, তাহলে আমার আপনার বাচ্চারা সরকারি স্কুলে কার কাছে পড়তে যাবে? সেভেন ফেল করা ওই মাস্টারগুলোর কাছে? যাঁরা অঙ্কের মাস্টার হয়েছে বাবার কিডনি বিক্রি করে তৃণমূলের পকেটে লাখ লাখ টাকা দিয়ে? ভবিষ্যৎটা আমাদের, লড়াইটা আমাদের। যে লড়াইটা করছি, সেটা কামব্যাক করার লড়াই।’’


যোগ্যদের নিয়োগের দাবিতে, আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তার উপর। যাঁদের আজ স্কুলে বসে পড়ানোর কথা, রাস্তায় বসে তাঁরা চাকরির দাবিতে চোখের জল মুছছেন। কেটেছে অনেকগুলো উৎসবের রাত। তাঁরা ভুলেছেন বাড়ির পথ। রোদ, ঝড়, জল বৃষ্টি মাথায় করেই চাকরির দাবিতে রয়েছেন পথে। একটা উৎসব পেরিয়ে এসেছে আরেকটা উৎসব। অথচ তাঁদের জীবনে আসেনি কোনও নতুন স্বপ্নের হাতছানি। এরই মধ্যে গত বছর মাথা কামিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক SLST আন্দোলনকারী। আবার টাকা দিয়ে চাকরির পাওয়ার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে বাতিল হয়েছে চাকরিও। এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে DYFI রাজ্য সভানেত্রীর কথায় উঠে এল এমনই একাধিক ইস্যু। দ্রুত নিয়োগের দাবির কথা উঠে এল বক্তব্যে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Kolkata Metro: যাত্রাপথে নয়া চমক, 'নদীর নিচে' সফরের অভিজ্ঞতা কলকাতা মেট্রোয়