কলকাতা : হাইভোল্টেজ সমাবেশে রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা। ১০০ দিনের কাজ থেকে দুর্নীতি...একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। 'কত পেলে, কত খেলে তার হিসাব বাংলার মানুষকে আগে দিতে হবে', বলে সুর চড়ান তিনি। সেলিম বললেন, "রাজ্যের মানুষ এই চুরি, জোচ্চুরি ও মিথ্যাচার দেখে বীতশ্রদ্ধ হচ্ছে। আবাসনের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা, কালভার্টের টাকা, রাস্তার টাকা, মিড ডে মিলের টাকা, রেশনের খাদ্য, আইসিডিএসের খাদ্য ...যারা চুরি করছে, রাজ্যের মানুষ তাদের শাস্তি চাইছে।" 


নিয়োগ দুর্নীতি থেকে রেশন দুর্নীতি। একাধিক অভিযোগে জেরবার রাজ্যের শাসকদল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ একে একে জেলে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এই ইস্যুতে একাধিক বার সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমরা। I.N.D.I.A ব্লকে তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএম এক মঞ্চে থাকলেও, রাজ্যস্তরে যে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে তাঁরা কোনওভাবেই একসঙ্গে লড়াই করবেন না তা সরাসরি জানিয়ে-বুঝিয়ে দিয়েছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা। সেই সুরেই আজ আরও একবার আগাগোড়া তৃণমূলকে নিশানা করলেন মহম্মদ সেলিম।


তিনি বললেন, "মানুষের হাতে টাকা নেই। ১০০ দিনের কাজের টাকা নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিসি-ভাইপো বললেন, দিল্লি থেকে গিয়ে টাকা নিয়ে আসব। আরে আগে বলুন, যাঁরা কাজ করলেন তাঁদের টাকা কোথায় গেল ? কত পেলেন, কত খেলেন তার হিসাব বাংলার মানুষকে আগে দিতে হবে।" একই সঙ্গে সুড় চড়ান কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও। সেলিম বলেন, "আর এই কেন্দ্রীয় সরকার, সে তো এসেই বলেছিল ১০০ দিনের কাজের আইন বাতিল করে দেব। সংসদে মোদি বলেছিলেন, গাড্ডা (পড়ুন, গর্ত) খোদনে কা কাম হ্যায়। আর এখন সেই আইনটাকে বাতিল করার চেষ্টা করছে। বামপন্থীরা যখন ইউপিএ-১ সরকারের আমলে মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে প্রথম সমর্থন করেছিল, তখন স্বাধীনতার পরে প্রথম কাজের আইন তৈরি হয়েছিল।"


আজ জেলা থেকে কলকাতা, ব্রিগেডে এসে মেশে সব পথ। শিক্ষা দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির মধ্যেই ব্রিগেডে ডিওয়াইএফআইয়ের সমাবেশে কার্যত জনজোয়ারের ছবি ধরা পড়ল। লোকসভা ভোটের আগে একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে আক্রমণ করেন নেতৃত্ব।  হাইভোল্টেজ লোকসভা ভোটের আগে, রাজ্য়জোড়া কর্মসূচিতে বিপুল সাড়া দেখে উচ্ছ্বসিত সিপিএম নেতৃত্ব। 


আরও পড়ুন ; ‘বড় মাঠে লড়াই হবে, সেখানে ধর্ম, ভাষার শর্ত থাকবে না’, ব্রিগেডে বললেন মীনাক্ষী