রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কালনা (Kalna) পুরসভার দুই তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধল। অভিযোগ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দিকে কাপ ছুড়লেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আহত ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে শোকজ করলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর।
উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে বচসায় জড়ালেন কালনা পুরসভার দুই তৃণমূল কাউন্সিলর। বৈঠক চলাকালীনই চেয়ার, কাপ-ডিশ ছোড়ার অভিযোগ উঠল ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। দাঁত ভাঙল এক তৃণমূল কাউন্সিলরের। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরকে শোকজ করল জেলা নেতৃত্ব।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিল বসু, কালনা পুরসভার জঞ্জাল ও নিকাশি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। সম্প্রতি, ওয়ার্ডে নিকাশির কাজ হচ্ছে না। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠান ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন, শুভেন্দুর সভায় মৃত্যু নিয়ে খোঁচা অভিষেকের, 'বাবুসোনা'কে পাল্টা আক্রমণ শিশির-পুত্রের
বুধবার কালনা পুরসভায় কাউন্সিলরদের বৈঠক ছিল। সেখানেই কেন মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানো হয়েছে? তা নিয়ে বচসায় জড়ান অনিল বসু এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাস। অভিযোগ, সেই সময় তাপস দাসকে লক্ষ্য করে চেয়ার, কাপ ডিশ ছুড়তে শুরু করেন অনিল বসু। একটি কাপ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে লাগে। দাঁত ভেঙে যায় তাঁর।
কালনার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তাপস দাস বলেন, "নিকাশির কাজ হচ্ছিল না বলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানায়। তাই আমার দিকে কাপ ডিশ ছোড়ে অনিল বসু। সেটা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে লাগে।"
তৃণমূল কাউন্সিলর অনিল বসুর বিরুদ্ধে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পুর চেয়ারম্যান। অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে কাটোয়া-কালনা রাজ্য সড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযুক্ত অনিল বসুকে শোকজ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
প্রসঙ্গত, কালনা পুরসভায় থামছে না তৃণমূলের কোন্দল। এর আগে বোর্ড গঠনের সময়ও কে চেয়ারম্যান হবে? এনিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মধ্যে।