ট্রেন্ডিং





Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভায় মৃত্যু নিয়ে খোঁচা অভিষেকের, 'বাবুসোনা'কে পাল্টা আক্রমণ শিশির-পুত্রের
Suvendu Adhikari-Abhishek Banerjee: কম্বলের লাইনেই চলে গেল প্রাণ। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

কৌশিক গাঁতাইত, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিটন চক্রবর্তী আসানসোল: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুভেন্দু অধিকারীকে ট্যুইটে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।
কম্বলের লাইনেই চলে গেল প্রাণ। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গত কয়েক মাস ধরে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বারবার শোনা যাচ্ছে ডিসেম্বর সাসপেন্সের প্রসঙ্গ। রীতিমতো তারিখ ধরে ধরে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।
এরমধ্যে ১২ তারিখ চলে গেছে। বুধবার ছিল ১৪ তারিখ। বাকি আছে শুধু ২১। বুধবার আসানসোলেও শুভেন্দু অধিকারীর গলায় উঠে আসে ডিসেম্বর সাসপেন্সের ব্যাখার প্রসঙ্গ।
এদিকে ১২ তারিখ বগটুই গণহত্যায় প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সিবিআই হেফাজতে। আর ১৪ তারিখ আসানোসলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তিনজনের। এই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিয়ে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে ট্যাগ করে ট্যুইট করে বলেছেন, শুভেন্দু ১২, ১৪ ও ২১ তারিখ আমাদের 'ডিসেম্বর ধামাকা'র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কেমন গেল দিনগুলো-
১২ ডিসেম্বর - সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃতদেহ উদ্ধার
১৪ ডিসেম্বর - আসানসোলে তাঁর তৈরি বিশৃঙ্খলার জেরে ৩ জন নিরীহের প্রাণ চলে গেল।
২১ ডিসেম্বর কি আরও দুর্ভাগ্যজনক কিছু অপেক্ষা করে আছে?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইটকে রিট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা লিখেছেন, প্রিয় 'বাবু সোনা' ওরফে 'কয়লা ভাইপো' এগুলো মন দিয়ে পড়ুন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানতে চায় রুজিরা নারুলা কে? আপনার উত্তর কী? আপনি কী লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির ডিরেক্টরদের নাম ও পরিচয় এবং তাদের সাথে আপনার সম্পর্ক প্রকাশ করতে পারেন?
আরেকটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আমি অনুষ্ঠানস্থল ছাড়ার প্রায় ১ ঘণ্টা পর জানতে পারি যে এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে এবং পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের প্রাণ গেছে। আমি যখন অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলাম, তখন স্থানীয় পুলিশ যে ব্যবস্থা করেছিল, তা সন্তোষজনক ছিল। আমি যখন এই দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কে জানতে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন তারা আমায় বলে, আমি ঘটনাস্থল ছাড়ার পরই পুলিশি ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এমনকি তুলে নেওয়া হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও।
কার দোষ, কার ভুল, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলবেই। কিন্তু, অপ্রিয় সত্য হল, সামান্য একটা কম্বলের আশায় শেষ হয়ে গেল তিন-তিনটি প্রাণ।