রানা দাস, মঙ্গলকোট: পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের ছায়াসঙ্গীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার পাশাপাশি, খুনের সুপারির টাকা ৬ শ্যুটারের মধ্যে বিলি করে অভিযুক্ত। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দাবি গোয়েন্দাদের।
খুনের পর ১ মাস ৯ দিন ধরে সিআইডি-র সঙ্গে লুকোচুরি। তদন্তকারীদের নজর এড়িয়ে ভিন রাজ্যে পালানোর ছক। বাড়ি থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি খুনে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্তের ছায়াসঙ্গীকে। ধৃতের নাম রিপন শেখ।
সিআইডি সূত্রে খবর, শনিবার বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১২ জুলাই মঙ্গলকোটে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে। খুনের পর দিল্লি থেকে মূল অভিযুক্ত শেখ রাজুকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
তদন্তকারীদের দাবি, শেখ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর ছায়াসঙ্গী রিপন শেখের হদিস মেলে। তৃণমূল নেতাকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তিনিই তৈরি করেন। সেই মতো খুনের জন্য ৬ জনকে জোগাড় করা হয়।
তাঁদের মধ্যে খুনের সুপারির ৫ লক্ষ টাকা বিলি করেন রিপন। খুনের সময় কে কোথায় থাকবে, কে গুলি চালাবে, সেই পরিকল্পনাও করেন।
তদন্তকারীদের আরও দাবি, খুনের পর মঙ্গলকোটে বসেই পুলিশ ও সিআইডি-র গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন রিপন। শেখ রাজু ধরা পড়ে যাওয়ায় কেরলে পালানোর ছক কষেন তিনি।
অসীম দাস খুনে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত পলাতক বলে দাবি সিআইডি-র।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাজধানী থেকে সিআইডির হাতে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত শেখ রাজু। রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুক্রবার বোলপুর থেকে শেখ বাবুলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।
কে এই বাবুল? সিআইডি সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুন করতে, সুপারি দেওয়া হয় বোলপুরের বাসিন্দা শেখ বাবুলকে। এর জন্য শেখ রাজু ও তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সহ সভাপতি সাবুল শেখ দু’জনে মিলে বাবুলকে ৫ লক্ষ টাকা দেন।
কয়েক দিন আগে এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া, রফিক শেখের কাজ ছিল রাজু ও সাবুলকে তৃণমূল নেতার গতিবিধির খবর দেওয়া।