কলকাতা: এখনও পড়ার টেবিলে ছড়িয়ে বই-খাতা। উৎসাহ ছিল বিজ্ঞানে। পড়তে গিয়েই বেঘোরে প্রাণ গেছে নবম শ্রেণির পড়ুয়ার (Bashdroni Student Death)। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর দায় কে নেবে? শোকে বিহ্বল পরিবার। এখনও তাঁরা বিশ্বাসই করতে পারছেন না ছেলে নেই।
বেঘোরে প্রাণ গেল পড়ুয়ার: গড়িয়ার রেনিয়ার বাড়িতে এখনও পড়ার টেবিলে ছড়িয়ে বই-খাতা। উৎসাহ ছিল ইলেকট্রনিক্স গ্য়াজেট তৈরিতে। টিউশন পড়তে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেছে নবম শ্রেণির পড়ুয়ার। মৃত ছাত্রের ঠাকুমার দাবি, ভোটের সময় যারা আসে, গতকালের ঘটনার পর তাদের কারও দেখা মেলেনি। বাবা রিকশচালক, খারাপ রাস্তায় বিপদের ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে চলতে হয়। যাত্রীদের সাবধানে গন্তব্যে পৌঁছে দিলেও বাঁচাতে পারেননি বড় ছেলেকে, এই কষ্টই কুরে কুরে খাচ্ছে। মায়ের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না, ছেলে নেই। আর বাড়ি ফিরবে না সে।
মৃত ছাত্রের বাবা বলেন, আমার আর বলার কিছু নেই। আমার ছেলেটা তো ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেল। রাস্তা এখন সারাই করুক, যাই করুক। আমার ছেলেটা তো চলে গেছে। ও রোজ সকাল ৭টার সময় ওখানে পড়তে যেত। ৯টা পর্যন্ত কোচিং থাকত। ওর স্যার ফোন করল। কিছু বললও না যে এখানে আসুন। গিয়ে দেখি ছেলে নেই। প্রচুর রক্ত। হাসপাতালে গেলাম। ছেলের বডিটা পড়ে আছে। সাড়া পর্যন্ত পেলাম না। ছাত্রের ঠাকুমার কথায়, "আমার নাতির কোনও দোষ নেই। ও সাইকেল চালায়নি। পাশে দাঁড়িয়েছিল। ওরা মেরে দিয়েছে। দাঁড়িয়েছিল গাড়িটা যাবে তারপর পড়তে যাবে। কিন্তু আর যেতে পারল না। কেউ আসিনি কাল থেকে। আমাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি। যখন ভোট লাগবে তখন এসে হাত জোড় করবে।''
এদিকে বাঁশদ্রোণীতে স্কুলছাত্রের মৃত্য়ুর পর টনক নড়ল প্রশাসনের। তড়িঘড়ি রাস্তা সারানোর উদ্যোগ। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে অলি-গলিতেও রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার তরফে প্রচুর লোকজন এবং ইট, বালি এনে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ। আগে সারাই হলে ছাত্রের প্রাণ যেত না।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: RG Kar Protest: প্রতিবাদ মিছিলে সামিল, উত্তরের কণ্ঠের আহ্বয়ককে মারধরের অভিযোগ