সৌভিক মজুমদার, বর্ধমান: জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের (National highway expansion) জন্য জমি দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু, সরকারের তরফে তাঁকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি শেষে চাঞ্চল্যকর রায় দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালত (East Burdwan District court)। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের বাংলো (East Burdwan District magistate's Banglow) বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হল। জানানো হল, বাজেয়াপ্ত করা ওই বাংলো বিক্রি করে জমিদাতাকে অবিলম্বে টাকা মেটাতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণের জন্য জমি দেন সুশান্তকুমার গোস্বামী নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, তার জন্য কোনও টাকা তাঁকে দেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। এর জেরে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলার শুনানি করে ২০১০ সালে তৎকালীন বাজারদর অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জমিদাতাকে ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, তারপরও টাকা পাননি ওই ব্যক্তি। বাধ্য হয়ে ফের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে ২০১৫ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই সময় ওই জমির বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা।
২০২৩ সালে সুশান্তকুমার গোস্বামী নামে ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, বর্তমানে ওই জমির বাজারদর প্রায় ২ কোটি টাকা। শুক্রবার সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের বাংলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল আদালত। ওই বাংলো বিক্রি করে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমিদাতার পরিবারকে টাকা দেওয়া হবে বলে জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালতের বিচারক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ২০০৭ সালে জমি দিলেও এখনও পর্যন্ত তার জন্য একটা টাকাও পাননি সুশান্তকুমার গোস্বামী। এর জেরে বারবার এই বিষয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আদালতও পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনকে আগেই তাঁর টাকা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তারপরও টাকা পাননি ওই ব্যক্তি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Howrah Municipality: ভোটের বাংলার ইস্যু আরও এক ভোট, হাওড়ায় সরব বিরোধী দলগুলি