সুনীত হালদার, হাওড়া: পুরসভায় (Howrah Municipality) নেই কোনও নির্বাচিত বোর্ড। গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে এমনই ছবি হাওড়ায়। যা নিয়ে এর আগে রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে টানাপোড়েন চলে বিরোধী দলগুলির। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার নির্বাচনী ইস্যু করেছে বিরোধীরা। 


হাওড়ায় সরব বিরোধী দলগুলি: ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হাওড়া পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর কয়েক দফায় প্রশাসক বসায় রাজ্য সরকার। বর্তমানে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুরসভার কাজকর্ম চলছে। তিনি গত দু বছরের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এদিকে আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। এই ভোটকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শহরে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার তুঙ্গে। দেওয়াল লিখন থেকে মিটিং, মিছিল, রোড শো এবং বাড়ি বাড়ি প্রচার কিছুই বাদ নেই। প্রচারে অন্যান্য ইস্যুগুলির সঙ্গে হাওড়া পুরসভায় গত সাড়ে পাঁচ বছর ভোট না হওয়াকে সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করছে দলগুলি।


হাওড়া সদর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এবং হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, "হাওড়ার মধ্যেই রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্ন অথচ হাওড়ার উন্নয়নে কোন নজর নেই তৃণমূলের। এখানকার রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা, পানীয় জলের সমস্যা, অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যাচ্ছে, শহরের রাস্তায় আলো নেই। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। এসব থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে তৃণমূল ব্যস্ত।"  সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই নিয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেখানে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল  মিথ্যা তথ্য দেয়। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস আরএসএসের কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। তারা যেমন গোটা দেশে ভোট চান না ঠিক তেমনি তৃণমূল কংগ্রেস ও একইভাবে এখানে ভোট করছে না। এটা নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।"


যদিও বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যের উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, "এই ভোট না হওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী বর্তমান বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি মেয়র থাকাকালীন রাজ্য সরকারকে বুঝিয়ে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ করেছিলেন। পরে বালি পুরসভা আলাদা হতে চায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট, ২০২০ -২১ সালে করোনা এবং ২০২২ সালে রাজ্যপাল বিলে সই না করায় আটকে যায় ভোট। তবে এই লোকসভা ভোটের পর যাতে হাওড়া পুরসভার ভোট হয় সেজন্য তিনি রাজ্য সরকারকে বলবেন।"  তিনি দাবি করেন শহরবাসী নিয়মিত পরিষেবা পাচ্ছে। সেখানে কোন ঘাটতি নেই। তা না হলে তারা পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাতেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: TMC On Abhijit Ganguly: মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল