বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : দলীয় বিভাজন সামাল দিতে এবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) মহম্মদপুরে হাইমাদ্রাসা নির্বাচনে ৩টি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করল তৃণমূল। কে কত তোলাবাজি করবে, তা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কটাক্ষ করেছে সিপিএম (CPM)। দলে কোনও কোন্দল নেই বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের (TMC)।
ধাক্কা খেয়ে পদক্ষেপ
দিন তিনেক আগেই নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির ভোটে বিজেপির কাছে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। এবার সেই নন্দীগ্রামেই হাই মাদ্রাসার নির্বাচন ঘিরেও অস্বস্তিতে শাসক দল। নন্দীগ্রামে হাই মাদ্রাসা নির্বাচনে ৩টি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিল তৃণমূল। কোন্দল সামাল দিতে শাসক শিবিরের এই সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন।
সামনেই নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর হাই মাদ্রাসার নির্বাচন। দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির আসন সংখ্যা ৬। প্রত্যেকটি আসনে লড়ার জন্য, একদিকে যেমন নন্দীগ্রামের ১নম্বর ব্লক তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়। তেমনি নিজেদের বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ঘোষণা করে, মনোনয়ন জমা দেয় অন্য গোষ্ঠী।
প্রার্থীপদ প্রত্যাহার
তৃণমূল সূত্রে খবর, এরপরই মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ২ শিবিরের ৩ জন করে মোট ৬ জনের নাম চূড়ান্ত করে তৃণমূল। ব্লক কমিটির ৩ জনের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করা হয়।
গত ২৮ অগাস্ট, গুমগড় হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দাউদপুর। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েছিল তৃণমূলেরই দুই পক্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যা নিয়ে তুঙ্গে ওঠে রাজনৈতিক তরজা। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই তার আগে পূর্বের ঘটনাক্রম থেকে শিক্ষা নিয়েই কি এই সিদ্ধান্ত? পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পরিতোষ পট্টনায়ক বলেছেন, 'তোলাবজি করতে গোষ্ঠী কোন্দল'। পাল্টা নন্দীগ্রাম (১)-র তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেছেন, 'কটা সমস্যা হয়েছিল । নতুন করে প্যানেল জমা দিলাম। কোনও কোন্দল তৃণমূলে নেই।' পাশাপাশি নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ আমারুল্লা বলেছেন, 'আমরাও প্রার্থী দিয়েছিলাম । এরপর বৈঠক সহমত হয়।'
মহম্মদপুর হাইমাদ্রাসার ভোটে বিজেপি (BJP) প্রার্থী না দিলেও, ৬টি আসনে সমঝোতা করে প্রার্থী দিয়েছে বাম (Left)-কংগ্রেস (Congress)। এখন সবার নজর ভোটের ফলের দিকে।
আরও পড়ুন- রাজ্য সরকারি কর্মীদের বড় জয়, ডিএ মামলায় রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হাইকোর্টের