ঋত্বিক প্রধান, পটাশপুর(পূর্ব মেদিনীপুর) : জল থইথই পরিস্থিতির পর এবার পানীয় জলে চরম সংকট দেখা দিল পটাশপুরে। জলমগ্ন অবস্থার অবনতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পটাশপুর ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ মথুরা, আড়গোয়াল ও সাউৎখণ্ড গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল টাওয়ারের অনেকটা অংশ জলের তলায় চলে গেছে। ফলে, মোবাইল নেটওয়ার্কের ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। যোগাযোগ পরিবেষা ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও আবার কিছু টাকার বিনিময়ে জেনারেটরের সাহায্যে মোবাইল চার্জ দেওয়া হচ্ছে।


ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে জেনারেটরের মাধ্যমে ১৯৭টি পানীয় জলের পাম্প চালিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের তা সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এলাকায় এলাকায় পানীয় জল নেওয়ার জন্য মানুষের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।


দিনকয়েক আগে পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের কাছে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিপত্তি বাধে। বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। এর জেরে পটাশপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বহু জায়গা প্লাবিত হয়। জল থইথই করে পটাশপুর বাজার। প্রায় ২০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয় প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে। 


গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে জল বাড়ে কেলেঘাই নদীতে। নারায়ণগড়ের পোক্তা পোলের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ২টো লরি ডুবে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে নারায়ণগড় ব্লকের ১২-১৩টি গ্রাম। জাতীয় সড়কের ওপর আশ্রয় নেন দুর্গতরা। 


আরও পড়ুন ; টানা বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের একাংশ, কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত পটাশপুর


গত ১৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে শিলাবতী নদী ফুলে ফেঁপে ওঠে । জলের তোড়ে ভেঙে যায় আস্ত একটা কাঠের সেতু। নদী পারাপার করতে কালঘাম ছুটে যায় চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ৩০টি গ্রামের বসিন্দাদের। যার ফল ভুগতে হয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর এলাকার বাসিন্দাদের। এই এলাকায়, নদী পারাপারের জন্য, আশপাশের ৩০-৪০টি গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল এই কাঠের সেতু। কাজের প্রয়োজনে, প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ হাজার মানুষকে নদী পারাপার করতে হয়। কিন্তু, মাস দুয়েক আগে, শিলাবতীর জলের তোড়ে তা ভেঙে যায়।