অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে দিনভর প্রচার কর্মসূচি রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর। 


সকালে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও দীনেশ ত্রিবেদীকে সঙ্গে নিয়ে এসএসকেএমের কাছে একটি ধাবায় চায়ের আড্ডায় জনসংযোগের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 


এরপর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ যাবেন কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যাবেন কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়ি। 


ফিরে এসে ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া রোডে দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী। বিকেল ৪টেয় হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। 


এরপর বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচার করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 


গতকালই বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচার শুরু করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সকালে প্রথমে যান ভবানীপুর গুরদোয়ারায়। 


এরপর রয় স্ট্রিটে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী। লর্ড সিন্হা রোডে করেন পথসভা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি, নেতাজি ভবন ঘুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজ সারেন আলিপুর পার্ক রোডে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে। 


লর্ড সিন্হা রোডে পড়ুয়াদের সঙ্গেও দেখা করেন হরদীপ সিংহ পুরী। শহরের দুটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।


মঙ্গলবার, ভবানীপুরে প্রচারে বেরিয়ে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। 


অভিযোগ, ওইদিন সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যে ওয়ার্ডে সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করছিলেন। কালীঘাট রোড থেকে যে গলি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের দিকে গেছে, সেদিকে বিজেপি প্রার্থী যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। 


স্থানীয় সূত্রে দাবি, পুলিশ জানায়, ওই গলিগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই এত লোক নিয়ে ওই জায়গায় যাওয়া যাবে না।  এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয় বিজেপি প্রার্থীর।


এরপর বিজেপি প্রার্থী হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দিকে প্রচারে যেতে গেল ফের পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। 


সূত্রের খবর, পুলিশ জানায়, ওই এলাকা হাই সিকিওরিটি জোন। তাই সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে কারও যাওয়ার অনুমতি নেই।  


বিজেপি প্রার্থী দাবি জানান, তাঁকে লিখিতভাবে আপত্তির কথা জানাতে হবে।  তখন পুলিশের তরফে বিকল্প প্রস্তাবও দেওয়া হয়। প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষী।  


কিছুক্ষণ বচসার পর প্রিয়ঙ্কা একটি গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের বাড়ি পেরিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে নামেন। তারপর আবার তিনি প্রচার শুরু করেন।   


আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে প্রচার, বাধা পুলিশের, বচসায় জড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি


আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে পুলিশের বাধার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের