বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: কয়লাপাচার (Coal Scam) রুখতে গিয়ে এবার আক্রান্ত হল সিআইএসএফ (CISF)। জখম সিআইএসএফ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার-সহ তাঁর গাড়ির ড্রাইভার। এই ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই হলদিয়া থানায় এফআইআর করেছে সিআইএসএফ। ঘটনায় শাসকদলের (TMC) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির।


হলদিয়া বন্দর সূত্রে খবর, সোমবার রাত্রি একটা নাগাদ একটি কয়লা বোঝাই ট্রেন বন্দরে যাওয়ার সময় হলদিয়া থানা এলাকার চিরঞ্জীবপুরের কাছে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন দুই দুষ্কৃতী ওয়াগন খুলে কয়লা পাচার করতে থাকে। টহলরত সিআইএসএফ জওয়ান দেখতে পেয়ে বাধা দেয়। এমনকি দুজনকে তারা ধরেও ফেলে। গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় রানিচকের কাছে ৩০ থেকে ৪০ জন দুষ্কৃতী সিআইএসএফ-র দুটি গাড়িতে আক্রমণ করে। ভেঙে দেওয়া হয় দুটি গাড়ি। গুরুতর আহত হয়ে অ্যাসিন্টেন্ট কমান্ডার ও তার গাড়ির চালক। ৯ জনের বিরুদ্ধে হলদিয়া থানায় এফআইআর করেছে সিআইএসএফ। আর এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলের মদতে এইসমস্ত দুষ্কৃতী রাজ চলছে। সিআইএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত, অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা শাসক দল।


আরও পড়ুন, 'আদালতে এসে ইয়ার্কি হচ্ছে?', গাজিয়াবাদে উদ্ধার হওয়া OMR শিট প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতির


রাজ্যে কয়লাপাচার মামলায় শাসকদলের একাধিক হেভিয়েটের নাম জড়িয়েছে। সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু অভিষেকই নয়, নাম জড়িয়েছে তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকারও। ইতিমধ্যেই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারকে একাধিকবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে বারাবার দিল্লি কেন, কলকাতায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে কেন নয়, প্রশ্ন তুলে দেশের শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন অভিষেক। যার ফলস্বরুপ,  আদালতের নির্দেশ শেষ অবধি তলবে কলকাতাতেই যেনও ডাকা হয়, নির্দেশ দেয় কোর্ট। এবং শেষ অবধি কলকাতাতেই কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবে সাড়া দিয়ে হাজিরা দেন অভিষেক। তবে বরাবরই অভিষেক কয়লা পাচার মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন তিনি। এমনকি একুশ সালে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে কলকাতা বিমান্ত ছাড়ার সময় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, যদি তাঁকে দোষী প্রমাণ করতে পারে, তাহলে তিনি নিজেই শাস্তি গ্রহণ করবেন। যদিও একুশ পেরিয়ে বাইশ সালের মাঝামাঝি যখন কলকাতায় কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁকে ডেকে পাঠাল, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে, বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি সোজা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই আক্রমণ করেছিলেন। দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলেন, 'দেশের সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।'