কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় (SSC Group D Case) কড়া বার্তা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu)। ইতিমধ্যেই 'ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, কাকে টাকা দিয়েছে ? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে (CBI)', এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
'আদালতে এসে ইয়ার্কি হচ্ছে?'
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জল গড়িয়েছে অনেকদূর। গতবছর পুজোর আগে থেকেই এই মামলায় একাধিক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একের পর একজন গ্রেফতার হলেও, বিরোধীদের তরফে দাবি উঠেছে, 'কেন মাথাগুলিকে ধরা হচ্ছে না ?', কোথাও যেনও শিরোনামে এসেও, রয়ে গিয়েছে মিসিং লিঙ্ক। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর যখন মুখ খুলেছেন, তখন প্রথম কথাটাই বলেছেন, 'আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।' তাহলে প্রশ্নটা রয়েই যাচ্ছে, যদি এটা 'ষড়যন্ত্র' হয়, তাহলে কে এই 'ষড়যন্ত্রের' স্রষ্ঠা ? একদিকে, দিনের পর দিন রাস্তায় চাকরি প্রার্থীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু নিয়োগ হচ্ছে কই ? গতবছর থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। আর এবার এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 'পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার আদালতে এসে কথা বলছে, ইয়ার্কি হচ্ছে?', অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসুর। 'সব অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের সরিয়ে দিলে শূন্যপদে কত দ্রুত নিয়োগ সম্ভব ? এদের সরাতে কেন নিজেরাই উদ্যোগী হচ্ছে না এসএসসি?', এসএসসিকে প্রশ্ন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া গ্রুপ ডি-র ৪ হাজার ৪৮৭টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।
আরও পড়ুন, আমরা কি চোর ? পুলিশ টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলার পথে প্রশ্ন চাকরিপ্রার্থীদের
একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা কর্মীদের
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা কর্মীদের। গরুপাচার মামলা, কয়লাপাচার মামলা-সহ একাধিক মামলায় বেগ পেয়েছে মূলত একুশ সালে। একদিকে গেরুয়া তথা বাকি বিরোধী দলের ভরাডুবি এবং অপরদিকে, তৃণমূলের বিপুল জয়। আর এমনই এক সন্ধিক্ষণে একাধিক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় ভূমিকা নেয়। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা তো বটেই, সঙ্গে বড় আকার ধারণ করে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। তবে এসএসসি মামলায় একাধিক জন ধরা পড়লেও, রাজ্যের নিয়োগ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন প্রতিবাদী চাকরি প্রার্থীরা। এবং একুশের একদম শেষে বিষফোঁড়ার মত সামনে আসে আবাস দুর্নীতি ইস্যু। সব মিলিয়ে চাপের মুখে শাসকদল।