পূর্ব মেদিনীপুর: সালটা ২০২১। জুলাই মাস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব হারানোর পর সেবার, রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বিজেপির এক সাংসদ লিখেছিলেন 'চললাম।' তিনি আর কেউই নন বাবুল সুপ্রিয়। সেবার তিনি বলেছিলেন, 'অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না। তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম - কোথাও নয়।' যদিও তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের ভাষায় 'পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট' কার্যতই এখন তৃণমূলের হয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে রাজনীতির ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যদিও তেইশের রাজনৈতিক ডায়াফ্রামে সমীকরণটা পুরোপুরিই ভিন্ন। তবুও গেরুয়া শিবিরে ফিরল ফের অতীতের ছায়া। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার নতুন কমিটি ঘোষণার পর বিজেপি নেতা প্রলয় পালের ইঙ্গিতপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট। 'ভালো থেকো রাজনীতি, আর নয়, দাও বিদায়।'
তাহলে কি দল ছাড়ছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল ? এই সেই প্রলয় পাল, ২১ শের বিধাসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল বলে একটি অডিও ভাইরাল করেছিলেন প্রলয়। এহেন প্রলয় পাল বলছেন, তিনি আগামীকাল জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন। দলও ছাড়ছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন প্রলয়। স্বাভাবিকভাবেভেই ঘটনা নয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। তবেবেই নিয়ে জেলা সভাপতি তাপসী মন্ডলকে ফোন করা হলে মিটিং -এ ব্যাস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।
এবার গেরুয়া শিবিরেরই আরও এক হেভিওয়েটের বিতর্কিত মন্তব্যে ফিরে যাওয়া যাক। লোকসভা নির্বাচনের আগে সর্বভারতীয় স্তরে দায়িত্ব পেয়েছেন। আর তার ঠিক পরেই ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা (BJP Leader Anupam Hazra)। তিনি বলেছিলেন , 'দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল।' কার উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেছিলেন অনুপম, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন, শনিবার থেকে বন্ধ বক্রেশ্বর শিব মন্দিরের গর্ভগৃহ, চলবে সংস্কারের কাজ
সেবার যদিও জল্পনা জিইয়ে রেখে অনুপম জানিয়েছিলেন, দলে পদে থেকেও অনেকে মাঠে নামছেন না। তাঁরাই 'দুষ্টু গরু'। ফেসবুকে ওই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে অনুপম লিখেছিলেন,'এখনও যদি মনে হয়, দলের সংগঠনের থেকে নিজের ইগো বা অভিমান বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বা পদ আগলে বসে থেকে ভিতরে ভিতরে দলের ক্ষতি করবেন, তাহলে আমি অন্তত আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে এটুকু চেষ্টা করব যে, আপনি যেন কোনও ভাবেই পদ বা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন।কারণ অতি প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল।'