কলকাতা: সংঘর্ষবিধ্বস্ত রাজ্যের নানা জায়গা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার (Firearms Recovery) নিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল মণিপুর সরকার (Manipur Government)। শুক্রবার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানায় তারা। সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে এও জানানো হয়েছে যে, স্রেফ বিচারপতিদের জন্যই ওই স্টেটাস রিপোর্ট।


আর যা...
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে আরও জানান, একই মর্মে একটি সংক্ষিপ্ত হলফনামাও জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন,'এখানে যে সব বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে, তা ইতিমধ্যেই কমিটির(কোর্ট নিযুক্ত) গোচরে আনা হয়েছে।' সংঘর্ষবিধ্বস্ত মণিপুুরের ত্রাণ ও উদ্ধারের প্রক্রিয়া খতিয়া দেখতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই কমিটির মাথায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গীতা মিত্তল। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে দুই মহিলাকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে খুনের ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। সেই মামলায় আবেদনকারীদের আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার এদিন সুপ্রিম কোর্টে জানান, এখনও ওই দুইজনের দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার জানান, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তারা এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।


নতুন অশান্তি...
এদিকে ফের নতুন করে তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। নেপথ্যে ৫ জনের গ্রেফতারি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তাবাহিনীর উর্দি পরা, সশস্ত্র ৫ জনকে গ্রেফতার করার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা মাথাচাড়া দেয় মণিপুরে। তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উপত্যকার নানা জায়গায় বিক্ষোভ, অবস্থান শুরু হয়। মঙ্গলবার থেকে সেই বিক্ষোভই চরমে পৌঁছেছিল। উপত্যকার স্থানীয় বাসিন্দারা ৪৮ ঘণ্টার লকডাউনের ডাক দেন। আর তার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার  ছিল,  অঘোষিত বনধ। গত কাল, বৃহস্পতিবার, মহিলা বিক্ষোভকারীরা উপত্যকার পাঁচটি জেলার একাধিক পুলিশ স্টেশনে মিছিল করেন। তাঁদের দাবি একটাই। ধৃত ৫ জনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। যদি মুক্তি না দেওয়া হয়, তা হলে তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। এই নিয়েই বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সিনজামেই পুলিশ স্টেশনের বাইরে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। তিন জন জখম হন সেই ঘটনায়। আপাতত তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। নতুন পরিস্থিতি দেখে কার্ফু শিথিল করার নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে রাজ্য সরকার। পরিবর্তে ফের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।


আরও পড়ুন:বিএসপি সাংসদের উদ্দেশে 'আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার' বিজেপি সাংসদের, নাড্ডার নির্দেশে শো-কজ