পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে দিবসে অধিকারী পাড়ায় একদিকে কীর্তন, এবং অপরপাশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা। আর তারই মাঝে শহিদ দিবস পালন করলেন  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নাম না করেই এদিন তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, 'সিপিএমকে সাফ করেছি,পিসি ভাইপোকেও গ্যারাজ করব।'


'এখানে সবার অধিকার আছে'


এদিন তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতানেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। তৃণমূল  এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল।' তিনি আরও বলেন, 'এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে। কী এমন যুদ্ধ এখানে, কেন্দ্রীয় বাহিনী, হাইকোর্ট, সাজোসাজো রব, যুদ্ধ হবে ? মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না । এই গ্রামের ১০০ ছেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কর্ণাটকে গুজরাতে গিয়ে, না খেয়ে ফ্লাইওভারের নিচে রাত কাটায় পরিযায়ী শ্রমিক।'


'সিপিএমকে সাফ করেছি,পিসি ভাইপোকেও গ্যারাজ করব'


তিনি আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। এমনিতেও ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকি যা আছে , সাফ করব। শহিদ বেদিকে সামনে রেখে বলে গেলাম, সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি ভাইপোকেও একেবারে গ্যারাজ করব। আগামী বছর দেখা হবে, ভাইপো বাইরে থাকবে নাকি ভিতরে থাকবে ? ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ দেখা হবে। যারা যা যা করছে চন্দ্রগুপ্তর ডাইরিতে লেখা থাকল। লক্ষণ শেঠদের অবস্থা যা হয়েছে, আপনাদের অবস্থাও ভবিষ্যতে তাই হবে', গোকুলনগরে শহিদ দিবস পালন করে হুঙ্কার শুভেন্দুর। 


কেন এই নন্দীগ্রাম দিবস ?


১৬ বছর আগে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চই রক্ত ঝরেছিল নন্দীগ্রামে চলে গেছিল ১৪টি নিরীহ প্রাণ। আর সেই শহিদ দিবস পালন ঘিরেই গতবছর নন্দীগ্রামে ফের তুলকালাম বেধেছিল।  শুভেন্দুর ( Suvendu Adhikari ) সভায় প্রথমটায় অনুমতি মেলেনি। পুলিশের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এর পর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। যদিও শেষঅবধি সমাধান মেলে। 


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী


 প্রসঙ্গে বারবার নন্দীগ্রাম


একুশের বিধানসভার এই নন্দীগ্রামই ছিল অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। তাই এই ইস্যুকে সামনে রেখেই এগিয়েছিল রাজনৈতিক দল গুলি। যদিও নন্দীগ্রামে অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার এই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাড়িয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর বিপরীত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শেষ অবধি বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয় এলেও, নন্দীগ্রাম বড় ঝড় তোলে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী পদ পেতে ফের বরাবরের ভবানীপুর কেন্দ্রেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।