বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে অন্য দলকে সাহায্য, সিপিএমের পথে হেঁটে এবার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তমলুকের বিষ্ণুবাড় ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, মত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার। আর এই নিয়ে একযোগে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাম-বিজেপি।


পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের জন্য গত রবিবার সিপিএম জেলা নেতৃত্ব ৮জনকে বহিষ্কার, ২২৩ জনকে শোকজ করেছিল। এবার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে অন্য দলকে সমর্থন করার জন্য তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিষ্ণুবাড়-২ অঞ্চল গঠনে বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য দলের বিষ্ণুবাড় ২ অঞ্চল সভাপতি অশোক গোস্বামীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কারের কথা জানালেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেনকুমার মহাপাত্র।


তিনি জানান, রাজ্য কমিটির অনুমতি অনুসারে বিষ্ণুবাড় -২ অঞ্চল সভাপতি অশোক গোস্বামীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন আমরা একাধিক বার বলার পরেও তিনি বিজেপিকে সাহায্য করেছেন। তবে সাসপেন্ডর তালিকায় আরও অনেকেই রয়েছেন। রাজ্য কমিটিকে তালিকা পাঠানো হয়েছে।সেই তালিকার শিলমোহর পড়লেই আগামীদিনে তাদেরও বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত,বিষ্ণবাড়-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ছিল ১৪। তৃণমূল পায় ৩ টি,বিজেপি পায় ৫ টি ওসিপিএম ও সিপিএম সমর্থিত নির্দল পায় ৩ টি আসন।তৃণমূলের ৩ জন জয়ী প্রার্থীর সমর্থনে বিজেপি বোর্ড গঠন করে।আর সেই বোর্ড গঠনে সাহায্য করার জন্য দলের এই সিদ্ধান্ত।দল থেকে বিষ্ণুবাড় ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি অশোক গোস্বামীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কার করা হল।যদিও এই নিয়ে অশোক গোস্বামীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন,'আমার নজরে নেই, আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। আর আমার দল বিরোধীতা করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তবে আমি কিছু জানি না। দল থেকেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি।'


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা বলয় ভেঙে মঞ্চে ওঠার চেষ্টা যুবকের, শোরগোল মিলন মেলায়


যদিও এই নিয়ে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিজেপি ও সিপিএম।বিজেপির দাবি,'আমাদের লক্ষ্য ছিল মানুষের পঞ্চায়েত গঠন। সেক্ষেত্রে বিষ্ণুবাড় ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের তিন জয়ী সদস্য আমাদের সমর্থন করেছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভদ্র মানুষের দল নয়। তিনি আমাদের সাহায্য করেছেন কি করেননি তা আমরা জানি না। যদি করে থাকেন তবে তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাবো।'এই নিয়ে সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন,'ওদের শাস্তি দেওয়া, আর না দেওয়া, দুটোই সমান। কলকাতাতে ওদের নেতা-মন্ত্রীরা আজ বহিষ্কার হয়, কাল দলে ঢুকে যায়। যে দলে কোনও শৃঙ্খলা নেই, সেই দল বহিষ্কার করছে, এটা আমার কাছে হাস্যকর।'