বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) হলদিয়ায় (Haldia) স্ক্রাব টাইফাসে (Scrub Typhus) আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী (Health Worker)। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুরসভা বা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত এলাকা পরিষ্কার না করায় এই পরিস্থিতি। যদিও পুরসভার দাবি, বন্দর কর্তৃপক্ষেরই সব দেখা উচিত। পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে, জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এবার পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পশহর হলদিয়ায় স্ক্রাব টাইফাসের থাবা। টাউনশিপ এলাকার এক বাসিন্দা আক্রান্ত হলেন মাকড়ের কামড়ে। অসুস্থ সামিনা আখতার বানু নন্দীগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী। পরিবার সূত্রে খবর,কয়েকদিন আগে জ্বরে আক্রান্ত হন সামিনা। ১১ নভেম্বর জানা যায় তিনি স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত।
স্ক্রাব টাইফাস ধরা পড়তেই পুরসভা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন টাউনশিপের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকলেও, তা নিয়মিত সাফাই করা হয় না। তবে পুরসভা কর্তৃপক্ষ এই অবস্থার জন্য প্রাথমিকভাবে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে।
আরও পড়ুন, গরুদের জন্য বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেবে উত্তরপ্রদেশ, খোলা হচ্ছে কল সেন্টার
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (স্বাস্থ্য) আজিজুল রহমান বলেন, "বন্দরের দেখা উচিত, আমরা খবর পেতেই টিম পাঠিয়েছি, সাফাইকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে।" এ বিষয়ে হলদিয়া বন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে সাফাইয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"
চিকিৎসকদের বক্তব্য, স্ক্রাব টাইফাসের ক্ষেত্রে পোকা কামড়ানোর ৬ থেকে ২০ দিনের মধ্যে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। মাথা-সহ শরীরের নানা অংশ, হাত-পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়। জ্বরের সঙ্গে র্যাশ বেরোতে পারে অনেক সময়। তবে সবার যে র্যাশ বেরোয় তা নয়। এক-এক জনের এক-এক রকম উপসর্গ দেখা যায়, তবে জ্বর থাকবেই। যেখানে পোকা কামড়ায় সেই জায়গায় একটা পোড়া দাগ দেখা যেতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।