বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: চাঁদা নিয়ে বচসা আর তার জেরেই কার্যত সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে নন্দীগ্রামের ক্য়ানসারে আক্রান্ত রোগীর পরিবারকে। এমনই অভিযোগ ঘিরেই চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। এদিকে এই অভিযোগ ওঠার পরই এলাকায় গেলেন বিডিও।
সামাজিকভাবে বয়কট: চাঁদা নিয়ে গ্রাম কমিটির সদস্য়দের সঙ্গে বচসা, তার জেরেই এক পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক। ভাইরাল অডিও সামনে এনে এমনই অভিযোগ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের এই পরিবার। অভিযোগ, গ্রাম কমিটির মাতব্বরদের জন্য় দীর্ঘ আটমাস ধরে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি তাঁদের। এলাকার কেউ কথা পর্যন্ত বলেন না। এমনকী স্থানীয় আত্মীয়দের দেহ সৎকারে অংশগ্রহণ পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না তাঁদের। অভিযোগকারী বলছেন, "গ্রামে একটা চাঁদা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। তারপর থেকেই কোনঠাসা করে দেওয়া হয়। জেঠু জেঠিমা মারা যাওয়ার সময় থাকতে পারিনি। আমাদের একবারে আলাদা করে দিয়েছে।''
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত গ্রাম কমিটির সদস্য় তরুণ সামন্ত। তাঁর দাবি, "এসব অভিযোগ মিথ্য়ে।'' ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় যান নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন বণিক। তিনি বলেন, "অভিযোগ পেয়েছিলাম গেছি। কিন্তু কোনও প্রমাণ পাইনি। থানায় মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেছি ২ পক্ষকে।'' এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম (১) ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য় গর্গ বলেন, "এইসব কাজ সিপিএম, বিজেপি করাচ্ছে।'' অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম, বিজেপি। সব মিলিয়ে অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এদিকে মঙ্গলবার সাত সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ করল তৃণমূল এবং বিজেপি। ভাঙাবেড়িয়া ব্রিজের কাছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ স্মরণ সভা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি ও রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র জয়া দত্ত, তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান। অন্যদিকে ভাঙাবেড়িয়া ব্রিজ থেকে ২০০ মিটার দূরে শহিদ মিনারে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: Government Bus Problem: শহরে বাড়ছে সরকারি বাস, কমবে ভোগান্তি? আশার আলো দেখছেন যাত্রীরা