বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর :  বাড়ির মধ্যে থেকে যুবকের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) মহিষাদলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন ওই যুবক। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই ওই যুবেকর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত বছর তেত্রিশের ওই যুবকের নাম শীতল আদক। মহিষাদল থানার বাড় অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। প্রায় আট মাস আগে পাশের গ্রাম হাজরাপোতায় বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকে বাড়িতে স্বামী স্ত্রী দুজনে থাকতেন। আশেপাশের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন যে, গত সোমবার যুবকের স্ত্রী তাঁর বাপের বাড়িতে চলে যান। স্ত্রী পাশের গ্রামে বাপের বাড়িতে গেলে পেশায় ডেকরেটার কর্মী শীতল আদক একাই বাড়িতে ছিলেন। তবে, যুবকের স্ত্রী চলে যাওয়ার পর বেশ কদিন তাঁকে এলাকায় কেউ দেখেননি বলে জানিয়েছেন। এদিন তাঁর বাড়ি থেকে কটু গন্ধ পাওয়া যাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। যুবকের প্রতিবেশীরা কিছু একটা ঘটেছে আঁচ করতে পেরেই এদিন তাঁর বাড়ির কাছে গিয়ে বাড়ির মধ্যে গলায় কাপড় জড়ানো অবস্থায় যুবকের দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মহিষাদল থানার পুলিশ এসে যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।


আরও পড়ুন - Weather Today: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জের! দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যই মৃত্যু হয়নি যুবকের। অন্তত তিন থেকে চারদিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শরীরে ইতিমধ্যেই পচন ধরে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও কারণে অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই যুবক। তাই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। যুবকের মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ওই যুবক, তা সম্পর্কেও প্রতিবেশীরা কিছু বলতে পারছেন না। স্ত্রীর সঙ্গেও কোনও কথা কাটাকাটি বা অশান্তির আওয়াজ তাঁরা পাননি বলে জানিয়েছেন। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্য়ুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।