কাঁথি (পূর্ব মেদিনীপুর): পুরভোটের (Municipal Election) আগে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) কাঁথিতে (Kanthi) বিজেপিতে (BJP) ভাঙন ধরল। কাঁথি পুর এলাকা অধিকারী পরিবারের গড় বলেই পরিচিত। সেই কাঁথিতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন ২ জন বিদায়ী কাউন্সিলর। উল্লেখ্য, গত বছরের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কাঁথি পুরসভার ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলর।
তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনকারী এক কাউন্সিলর বলেছেন, বিজেপিতে আমাদের ব্যবহার করা হয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারিতে বিজেপিতে যোগদানের পরই দেখলাম ওই দলে কাজের সুযোগ নেই। ওখানে থেকে মানুষের জন্য কাজ করার জায়গা নেই। আমরা ১৫ জন যোগ দিয়েছিলাম। বিজেপিতে যোগ দিলেও আমাদের মন পড়েছিল তৃণমূলেই। তাই তৃণমূলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। আগামী পুরসভার ভোটে এখান থেকে বিজেপিকে উৎখাত করাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য দল যা নির্দেশ দেবে, কর্মী হিসেবে সেই নির্দেশ পালন করব।
অন্যদিকে, এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী বলেছেন, কাউকেই ভুল বুঝিয়ে বা হাতে ধরে তবিজেপিতে যোগদান করানো হয়নি। সবাই নিজেদের বিশ্বাস ও বিবেচনাবোধ কাজে লাগিয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন তাঁরা তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রামে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ (Join) দিয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। যোগদানকারীদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর দাস। তাঁর সঙ্গে শতাধিক বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করা হয় দলের পক্ষ থেকে। বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে কাজ করেছিলেন শঙ্কর দাস।
নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান সভা ঘিরে তরজা শুরু হয়। বিজেপি তাদের কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের দাবি খারিজ করে দিয়েছে।যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ‘বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি। তাই বিজেপির ওই কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন’। যোগদানকারীদের একজন বলেছিলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়া ঐতিহাসিক ভুল ছিল। এখানে আন্দোলনকারী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ভুল করে চলে গিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই ভুল হবে না। এই গোকুলনগর পঞ্চায়েতেই তৃণমূল ফের জিতবে।