কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের শাসক দলের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। সম্প্রতি রাজ্যপালকে ট্যুইটারে ব্লক করে সেই দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকেও ফের রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি বাংলার নামে নেতিবাচক প্রচার করছে। বাংলাদেশের ছবি দিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে বিজেপি। আর এখানে দিয়েছে একটা ঘোড়ার পাল। একদল ঘোড়ার পাল, রাজ্য শাসন করতে পাঠিয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি আমি একটা ঘোড়াকে দেখছিলাম। মাউন্টেড পুলিশও জানতে পেরে গেল, ঘোড়ার পাল। সকাল নেই, সন্ধে নেই সবসময় আমাকে গালাগাল করছে। আবার আমাকেই ট্যুইট করছে। ঘরে বসে দূরবীন দিয়ে বাংলায় উনি শুধু খুন, হিংসা দেখছেন। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে কী হয়েছে দেখেছেন? গুজরাতে কী হচ্ছে দেখেছেন? দেখবার চেষ্টা করেছেন? মা ক্যান্টিনের টাকার কৈফিয়ত দিতে হবে বলছে। বলছে, আমার নির্দেশ মানতে হবে। কাউন্সিলরও তো কখনও হতে পারোনি, শুধু বড় বড় কথা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া কোনও কাজ করা যায় না। কিন্তু, যখন তখন মুখ্যসচিবকে ডাকছেন।’
আজ বিজেপিকেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, ‘মোদি করেছিল নোটবন্দি, আমি করেছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। একটার পর একটা স্কিম করছি, করবও। আমাকে দোলা একটা ভিডিও দেখিয়েছে। অফিসিয়াল ট্যুইটারে নর্থ বেঙ্গলকে বেঙ্গল করে দিয়েছে। পরের দিন সেটাই রিট্যুইট হল। আমরা এসব খেলা জানি। একটা দুষ্টু দুষ্টু খেলা চলছে। দুর্যোধন, দুঃশাসন বেঁচে থাকলে এদের অপকর্ম দেখে ডুবে মরত। গতকাল একটা বাজেট হল। বিজেপিকে দেখলে মনে হয়, চু কিতকিত দল। মানুষ চাল চায়, ডাল চায়, হিরে নয়। হিরের ঝোল, চচ্চরি, তরকারি বানাবে? আর নিজেরা হিরের ঘণ্ট খেয়ে বসে থাকবে। ‘পদ্মভূষণে রাজনীতির দূষণ। রাশিদের বাড়িতে বিজেপির ২ জন দিয়ে এসেছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অসম্মান করা হয়েছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কোনও বিকল্প আছে? সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অবস্থা সঙ্কটজনক।’