ঋত্বিক প্রধান, এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্জাব, হরিয়ানার পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ও পটাশপুর বিধানসভা এলাকায় চিনে বাদাম গাছ পোড়ানো থেকে ব্যাপক হারে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ । দূষণ ঠেকাতে মাঠে নামল কৃষি দপ্তর। এলাকায় ঘুরে কৃষকদের সচেতন করছেন কৃষি দফতরের কর্মীরা। পাশাপাশি চলছে মাইকে প্রচার। 


পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) এগরা (Egra) ও পটাশপুর (Patashpur) বিধানসভার প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয় চিনে বাদাম। নিয়ম হল, এই বাদাম চাষের পর জমি থেকে চিনে বাদাম তুলে নেওয়া হয়। এরপরে মাঠে চিনে বাদাম গাছগুলিকে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন কৃষকরা। অভিযোগ, এই রীতি থেকেই ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে দূষণ, এলাকা ঢাকছে কালো ধোঁয়ায়।


কিন্তু কেন এই প্রথা তৈরি হয়েছে? কৃষকদের কথায়, বাদাম তুলে নেওয়ার পরে যে সমস্ত গাছগুলি পড়ে থাকে সেগুলি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে মাটির সঙ্গে মেশাতে হলে বেড়ে যায় খরচের মাত্রা। এই কারণেই বাদাম তুলে নেওয়ার পরে গাছ জড়ো করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে যেমন কম সময়ে ছাই হয়ে মাটির সঙ্গে গাছ মিশে যায়, তেমনই বাঁচে খরচও।


আরও পড়ুন: East Midnapur News: কাঁথিতে পুরনো বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বিপত্তি, বোমা ফেটে গুরুতর যখন গৃহকর্তা


এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাদাম গাছ পোড়ানোর ফলে ব্যাপক হারে দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। সেই সমস্ত ছাই উড়ে ব্যাপক হারে খাল, বিল, নদী, নালাতেও দূষণ ছড়াচ্ছে। এলাকার আরও এক বাসিন্দার অভিযোগ, প্রতিদিন রাত হলেই এলাকার যে সমস্ত বাদাম চাষিরা রয়েছেন, তাঁরা সমস্ত গাছগুলিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে এলাকা কালো ধোঁয়ায় ডেকে যাচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।


কৃষি আধিকারিকদের বক্তব্য, এই বছর যেহেতু বৃষ্টি এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ বেশ কম, তাই এই বছর বাদাম গাছ পোড়ানোর প্রবণতা অনেকটা বেশি। অন্যান্য বছর বৃষ্টি আসে আগেই। বৃষ্টি হলে খুব তাড়াতাড়ি গাছগুলি পচে মাটিতে মিশে যায়। কিন্তু এ বছর বৃষ্টি হওয়ার ফলে কৃষকরা ব্যাপক হারে কৃষকেরা বাদাম গাছ মাঠে রেখেই পোড়াতে শুরু করেছেন। আধিকারিকদের বক্তব্য, সচেতনতা প্রচারের জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাঁরা মাইকে প্রচার চালাচ্ছেন।