কলকাতা: নতুন সাজ থেকে বাগানের নতুন ফুল, সবজি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই নিজের জীবনযাপনের ছবি ভাগ করে নেন অভিনেত্রী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। সদ্য নতুন ছবির প্রচারে কলকাতায় এসেছিলেন জয়া। জীবনানন্দ দাশের জীবনযাত্রাকে পর্দায় তুলে ধরছেন পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'ঝরা পালক'। আর সেই ছবিতে জীবনানন্দ দাশের স্ত্রী লাবণ্যপ্রভার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। ঝটিকা সফরে ছবির প্রচারে এসে এবিপি লাইভের সঙ্গে একান্ত আড্ডা জমালেন পর্দার লাবণ্যপ্রভা। 


ছবি শিল্পীসত্তা আর সাংসারিক জীবনের মধ্যে দ্বন্ধ তুলে ধরেছে। বাস্তবে অভিনেত্রী জয়া আর বাড়ির মেয়ে জয়ার মধ্যে কখনও দ্বন্ধ তৈরি হয়? পর্দার লাবণ্যপ্রভা বললেন, 'আমি যখন বাড়িতে থাকি বাড়ির মতো, কাজ করতে আসলে আলাদা একটা অবয়ব। দুটোকে মিশিয়ে ফেলি না আমি। দুটোর আকাশ-পাতাল তফাৎ। আমি ভীষণ সাধারণ জীবন যাপন করি, সাধারণ থাকতে ভালোবাসি। নায়িকাদের জীবন যাপন কেমন হয় আমি ঠিক জানি না। যতটা সাধারণ থাকা যায় ততটাতেই আমার স্বস্তি।'


আরও পড়ুন: Silent Short Film: সমাজের গণ্ডি পেরিয়ে এক রূপান্তরকামীর উত্তরণের গল্প নিয়ে আসছেন পরিচালক অনির্বেদ চট্টোপাধ্যায়


জয়া আহসান কী একমাত্র নায়িকা যিনি নিজে হাতে বাগানের যাবতীয় কাজ করেন? হেসে ফেলে জয়ার উত্তর, 'নিশ্চয়ই নয়, আরও অনেকেই করেন। কিন্তু আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে নিই কারণ মনে হয় যদি মানুষ তাতে অনুপ্রেরণা পায়।'


সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীদের ট্রোল করা নতুন নয়। জয়ার সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে? জয়া বলছেন, 'এখন আর কিছু মনে হয় না, পাত্তা দিই না খুব একটা। যাঁরা ট্রোলিং করছেন তাঁরা নিজেদের ভিতর নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে টেনে আনছেন। কাউকে কিছু বলে দেওয়াই যায়। কিন্তু মুখের সামনে এসে আঙুল উঁচিয়ে বলতে সাহস লাগে। সেটা কতজন করতে পারেন? যদি সাহস থাকে তাহলে সামনে এসে বলুন, আমি মেনে নেব একজন দর্শক আমায় বলছেন। লুকিয়ে থেকে তো অনেক কিছুই বলা যায়। সেগুলো মূল্যহীন।'