ঋত্বিক প্রধান,পূর্ব মেদিনীপুর: কাকভোরে স্কুলশিক্ষকের বাড়িতে বিস্ফোরণ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) ভগবানপুরে (Bhagabanpore)। শিক্ষকের দাবি, পারিবারিক অশান্তিতে আক্রোশ থেকেই কেউ এমন কাজ করেছে। যদিও ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)-বিজেপি (BJP)। 


২ ডিসেম্বরের পর ১৭ ডিসেম্বর। ১৫ দিনের মাথায় ফের বাড়িতে বিস্ফোরণের অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapore)! গত ৩ ডিসেম্বর অধিকারী পরিবারের খাসতালুক কাঁথিতে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। (Abhishek Banerjee)


তার আগের দিন রাতে ভূপতিনগরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তৃণমূলের (TMC) এক বুথ সভাপতির বাড়ি। উদ্ধার হয় তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনের ঝলসানো দেহ!


সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই আবার বিস্ফোরণের অভিযোগ! তাও আবার স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে! ভগবানপুরের দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামের এই জীর্ণ বাড়িতেই রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের তীব্রতা অনেক কম থাকলেও, নিমেষের মধ্যে ঘরে আগুন লেগে যায়। এই হল স্কুলশিক্ষক গোকুলচন্দ্র মোরার দালানবাড়ি। বাড়ির পিছনের এই পরিত্যক্ত অংশেই বিস্ফোরণ হয় বলে অভিযোগ। 


ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে ভগবানপুর থানার পুলিশ। শিক্ষকের অভিযোগ, পারিবারিক শত্রুতায় প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কয়েকজন। 


শিক্ষকগোকুলচন্দ্র মোরার কথায়,আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। শিক্ষকতা করি। আমার নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে একজন পালিয়েছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সেই ঘটনার জেরে এটা হয়ে থাকতে পারে।


শিক্ষক এই দাবি করলেও, ভগবানপুরের ঘটনাতেও লেগেছে রাজনীতির রং। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির কথায়, ঘটনার পিছনে তৃণমূলের (TMC) হাত রয়েছে। তৃণমূলের লোকজন ওই শিক্ষককে ফাঁসানোর জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ভোররাতে।


অভিযোগ উড়িয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য,বিজেপি কী বলছে জানি না। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শিক্ষকের বাড়িতে যা কিছু ঘটেছে সবটাই তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। পুলিশের তদন্তে সত্য সামনে আসবে।


বসিরহাটের পিফা রামনগরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। গতকাল তৃণমূল কর্মী মুজিবর রহমান মণ্ডলের বাড়িতে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় পরিবারের দুই সদস্য ১২ বছরের এক বালক ও এক গৃহবধূ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বোমা ফেটেই বিস্ফোরণ হয়। যদিও তৃণমূল কর্মীর পরিবারের দাবি, রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায়। রান্নাঘর সিল করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের কারণ জানতে ঘটনাস্থলে যাবে ফরেন্সিক দল।