বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় তৃণমূলের আরও ১১ জন নেতাকর্মী জেলে যাবেন।গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে লক্ষ্মীপুজোর এক অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূলও। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে।
কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, দেবব্রত মাইতির খুনিদের সিবিআই ডাকছে। হলদিয়া যাচ্ছে আর আসছে। ১২ জন ভিতরে ঢুকবে। মহালয়ার দিন সোনাচূড়ায় এই হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার, লক্ষ্মীপুজোর দিন একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের হরিপুরে এসে ফের তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে হুমকি দিলেন তিনি। বললেন, জাহাজ বাড়ির মালিক সহ আরও ১১টা গুন্ডা রয়েছে, ওদেরকেও জেলে ঢোকাব। আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য নিয়ে জেলার রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জলঘোলা। কারণ, মহালয়ার দিন শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারের হুমকির দিন তিনেকের মধ্যেই বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় ১১ জন তৃণমূল নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে সিবিআই।ফের বিজেপি বিধায়ক গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেওয়ায় পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাস বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এ সব বলা হচ্ছে। সিবিআই যে কেন্দ্রের দালাল, তা এর থেকে প্রমাণিত। আমরা আইনের পথে মোকাবিলা করব।
গত ৩ মে, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির ওপর হামলা হয়। গত ১৩ মে, এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগ ওঠে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান সহ তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি নেতা খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যে শেখ সুফিয়ানের জামাই-সহ ১১ জনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে।