করুণাময় সিংহ, মালদা: সিকিমে ঘুরতে গিয়ে মৃত্যু হল মালদার এক পর্যটকের। মৃত ব্যক্তি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতদেহ মালদায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা।


জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটকের নাম দেবরাজ রায় (৪৯)। বাড়ি মালদার ইংরেজবাজার থানার বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায়। প্রতিবছরই বন্ধু ও তাঁদের পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান তিনি। চলতি মাসের ১৭ তারিখ মালদা এলাকার ২০ জন সিকিমে ঘুরতে যান। পরিবার সূত্রে খবর, দিন দুয়েক আগে শ্বাসকষ্টের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন দেবরাজবাবু। এরপর তড়িঘড়ি সেখানে স্থানীয় একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে তাঁকে দেখানো হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে দেবরাজ রায়ের মৃত্যু হয়। যদিও এখনও মৃতদেহ ওই বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে। মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতদেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধস, হড়পা-বান, ফের প্রকৃতির রুদ্ররূপে লন্ডভন্ড দেবভূমি। ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আর সেই সব ছবি টিভিতে দেখে উৎকণ্ঠা বাড়ছে বাঁকুড়ার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের একাধিক পরিবারের। স্থানীয় সূত্রে খবর, নবমীর দিন উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়েছেন এই গ্রামের ৭ তরুণ-তরুণী। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বেগে বাবা-মায়েরা।


আরও পড়ুন: Nadia: লক্ষ্মীরূপে নিজের কন্যাকেই পুজো-অঞ্জলি দান, সমাজকে 'বিশেষ বার্তা' শ্যামনগরের দম্পতির


এক অভিভাবক জয়দেব মণ্ডল জানান, “দুই ছেলে গিয়েছে। চিন্তায় আমরা। যোগাযোগ করতে পারছি না।’’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে যোগাযোগ করা যায়নি কোরও সঙ্গে। তাঁদের খবর  পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিভাবকরা। আরেক অভিভাবিকা পাপিয়া মণ্ডলের কথায়, “আমার ছোট ছেলের পাহাড়ের নেশা। এবারে দুভাই গেল। খুব চিন্তায় আছি। থানায় জানিয়েছি।’’ ওন্দা থানা সূত্রে খবর, ট্রেকিং-এ যাওয়া তরুণ-তরুণীদের খোঁজ পেতে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Bankura : উৎকণ্ঠায় বাঁকুড়ার পুরুষোত্তমপুর, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে যাওয়া গ্রামের ৭ তরুণ-তরুণীর