প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : দক্ষিণ কলকাতায় ( South Kolkata ) ছেলের বান্ধবীর নামে এক কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন অয়ন শীল ( Ayan Shil ) । সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Recruitment Scam ) ইডি-র ( ED ) কাছে বিস্ফোরক দাবি করেছেন অয়নের ছেলে অভিষেকের বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায় ( Iman Ganguly ) ।
আরও পড়ুন :
কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি অ্যাজমার শিকার? কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন?
টাকা ফেরত দেবেন ইমন?
ইমনের দাবি, কী কারণে ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল, তা তাঁর অজানা। অয়নের ছেলে অভিষেক শীলের বিজনেস পার্টনার ইমন। ইডি-র দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ইমন জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় অয়ন তাঁকে একাধিক নথিতে সই করিয়েছেন। তবে কি ইমনের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছিল, খতিয়ে দেখছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, টাকা ফেরত দিতে আগ্রহী অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র তলবে হাজিরা দেন অয়ন শীলের ছেলের বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। ইডি-র দাবি ছিল , অয়নের ছেলে অভিষেকের সঙ্গে দুটি সংস্থায় অংশীদারি রয়েছে ইমনের। অভিষেক-ইমনের নামে একটি জমিও কিনেছিলেন অয়ন। ইমন অয়নের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কী জানতেন? জমি কেনার টাকার উৎস কী? জানতে চায় ইডি।
ইডি সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ছেলে অভিষেকের রেস্তোরাঁ ও পেট্রোল পাম্পে অংশীদারিত্ব রয়েছে ইমনের। এছাড়াও, ২০২০-র ২ সেপ্টেম্বর, হুগলির ধনেখালিতে এক কোটি টাকা দিয়ে অভিষেক-ইমনের নামে একটি জমি কিনেছিলেন অয়ন। রেস্তোরাঁ ও পেট্রোল পাম্পে কি নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল? জমি কিনতে ব্যবহৃত টাকা কি চাকরি চুরির? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে ইডি।
ইমনের সঙ্গে আগেরদিন ইডি অফিসে যান তাঁর বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ও। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর,
ডিরেক্টরেট অফ লোকাল বডি বা ডিএলবির যুগ্ম অধিকর্তা ছিলেন বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়। চলতি বছরের ৩১ শে মার্চ অবসর নেন বিভাস। এর আগে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, নিয়োগ পাইয়ে দিয়ে একা অয়ন শীলই বিভিন্ন পুরসভা থেকে তুলেছিলেন ৪০ কোটি টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইমন ও তাঁর বাবা বিভাসের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না?
পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সদ্য প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তার মদতেই কি পুরসভায় দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিলেন অয়ন?
ইমন কী জানতেন অয়নের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে? সেইসব প্রশ্নেরই উত্তর জানতে চান ইডি আধিকারিকরা।