প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : অর্পিতা-হৈমন্তী-সোমার পর এখন সাসপেন্সের নতুন নাম শ্বেতা। এবার সেই শ্বেতাকে নিয়েই বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের দাবি, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে ৫ দফায় গিয়েছিল ৫৫ লক্ষ টাকা।
বিস্ফোরক দাবি ED র
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তিনবার ১০ লক্ষ করে এবং একবার ২০ ও একবার ৫ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল শ্বেতার অ্যাকাউন্টে। এছাড়াও, অয়নের সল্টলেকের অফিসে শ্বেতাকে দেওয়া গাড়ির মানি রিসিট মিলেছে। হন্ডা সিটি কেনার জন্য অয়ন শ্বেতাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে ইডি-র দাবি।
৫৫ লক্ষ টাকা কেন শ্বেতার অ্যাকাউন্টে
সূত্রের খবর, অয়নের সঙ্গে শ্বেতার সম্পর্ক, কেন ৫৫ লক্ষ টাকা শ্বেতার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল, নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে শ্বেতার কোনও যোগ রয়েছে কি না, এই সবই অয়নের কাছে জানতে চাইছে ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের অ্য়াকাউন্ট থেকে এই শ্বেতার অ্য়াকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু কে এই শ্বেতা? তাঁর সঙ্গে কী সম্পর্ক অয়নের?
আরও পড়ুন :
অয়ন শীলের প্রযোজনার ছবিতে শ্বেতা, অভিনয়ের পুরো পারিশ্রমিক পাননি এখনও বলছেন ঋত্বিক, সোহিনীরা !
কে এই শ্বেতা ?
সূত্রের খবর, শ্বেতার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্য়ক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্য়ানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্য়দিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু, পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন।
অয়নের ভাগ্নি পরিচয়ে থাকতেন শ্বেতা
সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে কামারহাটির রথতলায় আবাসনের ফ্ল্য়াটে থাকতেন শ্বেতা। ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নি পরিচয়ে থাকতেন এখানে। শুধু ফ্ল্য়াট নয়, সূত্রের খবর, শ্বেতাকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য় করেছিলেন অয়ন। ইডি সূত্রে দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে কামারহাটি পুরসভার PWD ডিপার্টমেন্টে সাব অ্য়াসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়রের চাকরি করেন শ্বেতা।