কলকাতা: শেখ শাহজাহানকাণ্ডে ফের অ্যাকশনে ED, ফের ম্যারাথন তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 


৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে যাওয়া ইডি অফিসারদের ওপর বর্বরোচিত হামলা হয়। তারপরে কেটে গেছে ৫০ দিন। এখনও ধরা যায়নি সন্দেশখালিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানকে। 


এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রতারণার পুরনো একটি FIR সংগ্রহ করে ECIR দায়ের করেছে ইডি। সেই মামলারই তদন্তে এদিন কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনার মোট ৬টি জায়গায় একযোগে তল্লাশিতে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 


এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ, উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে ম্য়াগনাম এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক কোম্পানির মালিক অরুণ সেনগুপ্তর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডির টিম। ইডি সূত্রে খবর, চিংড়ির রফতানির ব্যবসা করেন তিনি। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে একাধিক ভেড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের দখলে থাকা ভেড়ি থেকে আসা চিংড়িও রফতানি করতেন এই অরুণ সেনগুপ্ত।


অন্যদিকে এদিন সকালে ইডির আরেকটি টিম চলে যায় মধ্য হাওড়ার হালদারপাড়ায়। সেখানে অরুণ সেনগুপ্তর আত্মীয়র বাড়িতেও অভিযান চলে। প্রায় চার ঘণ্টা পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান তদন্তকারীরা। 


পার্থপ্রতিম সেনগুপ্তর মেয়ে অন্বেষা সেনগুপ্ত বলেন, 'আমার বাবাকে বিভিন্নরকমভাবে কোম্পানি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন করেন। পূর্ণ সহযোগিতা উনি করেছেন। ওনারা এমনকিছু পাননি বা এরকম কিছু সন্দেহজনক কিছুই দেখতে পারেননি বা জানতে পারেননি যার প্রেক্ষিতে কিছু বাজেয়াপ্ত করা যায়। যেটাই সত্যি সেটাই আমার বাবা বলেছেন।' তাঁর মেয়ে জানাচ্ছেন, তাঁর বাবা আসলে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওনার রফতানির ব্যবসা, চিংড়ি মাছের রফতানির ব্যবসা রয়েছে। তাঁর বাবার সঙ্গে শেখ শাহজাহানের ফোনে কোনও যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।


এছাড়া প্রায় একইসময়ে এদিন উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগরে ম্য়াগনাম এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও হানা দেয় ইডি। শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাসিন্দা ও চিংড়ির রফতানির ব্যবসায়ী অরূপ সোমের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডির তিন সদস্যের টিম। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি। 


চিংড়ির আমদানি রফতানির ব্যবসা। বিজয়গড়ের বাসিন্দা। অরূপ সোম। এলাকায় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। আগে রেলে পরিচিত হবে স্থানীয়দের দাবি। চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় যোগ দেন। বাড়িতে ছিলেন না অরূপ। বাড়ি থেকে খবর দেওয়া হলে বাড়িতে ফেরেন। ইডির তিন সদস্যের টিম। সকাল সাতটা ২০। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান দিয়ে বাড়ি ঘিরে নেয়। কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযান চলে বিজয়গড়ের একটি অফিসেও। 


আরও পড়ুন: বাইক থামিয়ে 'মারধর', নন্দীগ্রামে বাড়ি ফেরার পথে 'আক্রান্ত' তৃণমূল নেতা