কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipal Recruitment Corruption) মামলায় এবার ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে (Diamond Harbor Municipality) নোটিস। এবার ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি। ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় নিয়োগ, খবর ইডি (ED) সূত্রে। ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় গ্রুপ সি ও ডি পদে ১৬ জনের নিয়োগ করা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। সেই নিয়োগ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ইডি নোটিস পাঠিয়েছে। ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূলের (TMC) মীরা হালদার। তাঁর দাবি, সব কিছু নিয়ম মেনে হয়েছিল, নিয়োগে কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি। ইডি যা যা চেয়েছে, সেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস।


ডায়মন্ড হারবার পুরসভা সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির নোটিস পেয়েছে তারা। নোটিসের প্রেক্ষিতে ইডি-কে তথ্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ২০১৬ সালে ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়। পরীক্ষা থেকে প্রার্থী নির্বাচন, গোটা প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোন। পুরসভা সূত্রে খবর, ইডি-র তরফে সেই সমস্ত নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। 


এই ইস্যুতে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সম্পাদক কুণাল হালদার বলেন, 'সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুরসভা একটা নমুনা মাত্র।' এই তদন্ত আরও আগে হওয়া উচিত ছিল বলে বলেছে সিপিএম।


২০১৬ সালে তৃণমূল পরিচালিত ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারপার্সনের দায়িত্বে ছিলেন মীরা হালদার। এখন তিনি ওই পুরসভারই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের দাবি, সমস্ত নিয়োগই নিয়ম মেনে হয়েছিল। তাঁর দাবি, 'নিয়মমাফিক টেন্ডার করে, ইন্টারভিউ নিয়ে ডিএলবিতে পাঠিয়েছি। ডিএলবি থেকে অর্ডার আসতে তারপর অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছি। বেআইনি কাজ করেছি বলে মনে করি না। এজেন্সিকে ডেকেছি। টেন্ডার করে যাকে ভাল লেগেছে, তাকে দিয়েছি দায়িত্ব। সঠিকভাবে চলেছি। যখন ডাকবে, সঠিক কথাই বলব।'


ইডি সূত্রে দাবি, অয়ন শীলের অফিস থেকে অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার হয়। সেই সূত্র ধরেই এবার ইডি-র স্ক্যানারে এবার ডায়মন্ড হারবার পুরসভা।


সিবিআইও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে। সেই মামলায় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সিবিআই। ৩১ আগস্ট তাঁকে ডাকা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। যদিও এদিনই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দাবি করেছেন, তিনি সিবিআইয়ের থেকে কোনও নোটিশ পাননি।


 


আরও পড়ুন: সাতসকালে এলোপাথাড়ি গুলি! 'খুন' তৃণমূলকর্মী