কলকাতা : রেশন দুর্নীতির তদন্তে ফের অ্যাকশনে ED। কলকাতার ৬টি জায়গায় একযোগে চলছে তল্লাশি-অভিযান। সল্টলেকের IB ব্লকের একটি বাড়িতে হাজির ED-র আধিকারিকরা। বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। সল্টলেক, বাগুইআটি, ইএম বাইপাস, মধ্য কলকাতা, নিউ আলিপুর, বন্দর এলাকা-সহ কলকাতার ৬টি জায়গায় একযোগে চলছে তল্লাশি-অভিযান।


কেন্দ্রীয় এজেন্সির রেডারে এবার রেশন দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ফরেক্স কোম্পানির মালিক বিশ্বজিৎ দাস। সকাল ৭টা নাগাদ বিশ্বজিতের সল্টলেকের IB ব্লকের বাড়িতে হানা দেন ED-র আধিকারিকরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। খবর না দিয়ে কারা অভিযানে, জানতে চায় তারা। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখতে চান পুলিশ অফিসার। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ED-র প্রধান তদন্তকারী অফিসার প্রশান্ত চাণ্ডিলের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। সার্চ ওয়ারেন্ট দেখে মিনিট পনেরো পর চলে যায় পুলিশ। বাগুইআটিতে শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ওই মানি এক্সচেঞ্জারের অফিস, মেট্রোপলিটনে ওই ব্যবসায়ীর আরেকটি ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছে ED।  


অন্যদিকে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সোমবার কৈখালিতে ED-র অভিযানে ঘটে গেল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার পুনরাবৃত্তি। এখনও তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফেলে দেওয়ার ঘটনা সকলের মনে স্পষ্ট। সেই ধাঁচেই এবার বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ শেয়ার ব্য়বসায়ীর ফ্ল্যাট থেকে পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে ফেলা হল দুটি মোবাইল ফোন। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে এদিন সকালে কৈখালির PS ম্যাগনাম কমপ্লেক্সে শেয়ার ব্যবসায়ী হানিস তোশওয়ালের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ED।


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তল্লাশি চলাকালীন ব্যবসায়ীর আটতলার ফ্ল্যাট থেকে পাশের বাড়ি ছাদে ফেলে দেওয়া হয় দুটি মোবাইল ফোন। পরে ওই দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ED-র আধিকারিকরা। সন্দেহজনক তথ্য লুকোতেই মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান ED-র।  


গত বছর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে যখন সিবিআই হানা দিয়েছিল, তখন তিনি বাড়ির অদূরে পুকুরে দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন । এবার সেই কায়দাতেই বোধ হয় অনেককিছু আড়াল করতে চেয়েছিলেন বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ শেয়ার ব্য়বসায়ী।  কী আছে তার মোবাইলে ? এই মোবাইলে কি লুকিয়ে রেশন - দুর্নীতির টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ? 


আরও পড়ুন:          


শীতের আমেজ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে, কত দিন স্থায়ী হবে?