সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : একদিকে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে ইডি হানা, অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতেও শুক্রবার সকালে টিম-ইডি। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সকাল ৬.৪০ নাগাদ তাঁর বউবাজারের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাপস রায় বর্তমানে বরানগরের বিধায়ক।
সূত্রের খবর, ১০৬ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢোকার পর, সিঁড়ি দিয়ে উঠে সোজা ওপরে তাপস রায়ের ঘরে চলে যান ইডি-র আধিকারিকরা। বউবাজারের যে আবাসনে তাপস রায় থাকেন, সেখানে বাড়ির নীচেই রয়েছে তাঁর একটি অফিস। তৃণমূল বিধায়কের সেই অফিসেও এদিন তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
গত নভেম্বরে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সনকে। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অর্পণা মৌলিক। অপর্ণা মৌলিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
আরও পড়ুন:
ফের অ্যাকশনে ইডি, সুজিত বসুর বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ, তাপস রায়ের বাড়িতে তল্লাশি
ত্রিফলা অভিযান ED র
ভোরের আলো ফুটতেই শুক্রবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ত্রিফলা অভিযান শুরু করে। মন্ত্রী, বিধায়ক ও কাউন্সিলর, একযোগে তিন হেভিওয়েটের ঠিকানায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। এদিন ভোরের আলো ফুটতেই মন্ত্রী সুজিত বসু ও বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তিন জায়গায় সকাল থেকে চলে তল্লাশি-অভিযান।
শাসক দলের কটাক্ষ
এই তল্লাশি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, সারদা আর নারদায় অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে কেন রেড হচ্ছে না?
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'আমরা শুধু এটাই বলি, বাংলার মানুষও জানে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে হচ্ছে এবং তার রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে হচ্ছে। এটা জলের মতো পরিষ্কার। স্বামীজি বলেছিলেন, নিজের ব্যক্তিত্ব তৈরি করো , নিজে ভাল হও, ভাল মানুষ হও। সুতরাং কোনও কিছু আমি ফায়দা নেব, কিছু একটা ঘটনা হচ্ছে, তার থেকে ব্যক্তিত্ব তৈরি হয় না। স্বামীজির এই পুণ্য মাটিকে কলুষিত করা যায় না। '
এর আগে, গত বছর অক্টোবর মাসে পুর নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে ইডির পর একযোগে ১২ জায়গায় হানা দেয় সিবিআই ।