সন্দীপ সরকার , সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : রেশন দুর্নীতির ( Ration Scam ) তদন্তে নতুন বছরের শুরুতেই দুই ২৪ পরগনায় ( South 24 Pargans ) ফের অভিযানে নামল ইডি ( ED ) ।



জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ২ তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পৌঁছে গেল ইডি।  সাতসকালে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা।  শেখ শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের পাশাপাশি সন্দেশখালি ১-এর ব্লক সভাপতি। 


সঙ্গে সঙ্গে শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। কেন না জানিয়ে ইডির হানা? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাৃন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ইডি আধিকারিকদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। ইডির আধিকারিকদের মারধর শুরু করতে শুরু করে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। ধাওয়া করে ইডি আধিকারিকদের এলাকা ছাড়া করা হয়।  ভাঙচুর করা হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়ি। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমও, ভাঙা হয় ক্যামেরা, গাড়ি।  


অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার ( North 24 Pargana ) বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর শ্বশুরবাড়িতে হানা দিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সকাল সকাল বনগাঁর শিমূলতলায় তৃণমূল নেতার শ্বশুর বিনয়কুমার ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি।   


ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতি মামলার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি চার্জশিটে দাবি করেছিল, এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। ৩৬ কোটি টাকা গেছে ধৃত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে। ২টি সংস্থার মাধ্য়মে ভুয়ো কৃষকদের কাছে ধান দুর্নীতির টাকা পৌঁছে দিয়েছিলেন, ধৃত মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান।তাতে রাজ্য় সরকারের ক্ষতি হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত রেশনে দুর্নীতি চলেছে।                                       

তবে বর্তমানে ইডির আধিকারিকরা মনে করছেন, সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে দুর্নীতির অঙ্কটা ১ হাজার কোটি টাকার ওপরে। ED সূত্রে দাবি, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জেতার পর, West Bengal Essential Commodities Supply Corporation-এর চেয়ারম্যান করা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তখন তিনি চারশো পঞ্চাশ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা ধান কেনার জন্য মঞজুর করেছিলেন। সেই টাকা বাকিবুর রহমানের মাধ্যমে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল। প্রথমে সেগুলিকে কৃষকদের অ্যাকাউন্ট বলে দাবি করা হলেও, পরে জানা যায় সেগুলি সব ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। ইডি সূত্রে দাবি, শুধু বাকিবুর রহমান নন, আরও অনেক রাইস মিল মালিক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।   


আরও পড়ুন: প্রতিটি প্রশ্নপত্রে ‘স্বতন্ত্র কোড’! মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে নয়া ব্যবস্থা পর্ষদের