পূর্ব মেদিনীপুর: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে (Egra Blast) এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে এদিন এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।  কুণালের সংযোজন, 'মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) নিজেই এনআইএ তদন্তের কথা বলেছেন', তাই নতুন করে শুভেন্দু এনআইএ-র দাবি কী 'ইস্যু' হারাচ্ছে ? বিশ্লেষণ শাসকদলের এই হেভিওয়েটের।


তিনি বলেন,'একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। মুখ্যমন্ত্রী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এতে যদি এনআইএ তদন্ত হয়, আমার কোনও আপত্তি নেই। সেখানে যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী, এতটাই রাজধর্ম পালন করেছেন, সেইখানে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে বিরোধীদের কাছে, যে শকুনের রাজনীতি করার জন্য ইস্যু দরকার। ওরা বলবে এনআইএ চাই, ওরা কী ভাবছে ? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছে এনআইএ হোক। তো সেখানে ইস্যু হারিয়ে যাচ্ছে। পাগলের প্রলাপ..।'


মূলত, এনআইএ তদন্ত করলে আপত্তি নেই,বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,'ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, এটা নিয়ে কেউ না কেউ কোর্টে যাবে। কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে NIA তদন্তের আদেশ দেবেই। তাই কানমোলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই স্বীকার করেছেন, NIA হলে আপত্তি নেই। যদি উনি সত্যিই চান, তাহলে নিজে থেকে NIA তদন্ত চাইছেন না কেন ? ওনার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি লেখা উচিত, যে এর তদন্ত হওয়া উচিত। ' 
 


বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি আরও বলেন,' মমতা বন্দোপাধ্য়ায় বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল না। ওনাদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ ক্ষেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে। এখন সেখানে নির্দল পঞ্চায়েত প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধী কাজ, এখানে পুলিশ কোথাও না কোথাও যুক্ত। না হলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেশার আছে। তাই আজ পুলিশ আক্রমণের শিকার। এই ধরনের বিস্ফোরক যেখানে আছে, সেটা অন্য কোনও কাজে লাগতে পারে। সবাই বলছে, গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ওখান থেকেই বোমা সাপ্লাই হত। তাই গোটা বিষয়টা নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত প্রয়োজন। ছোট ব্যাপার বলে এড়িয়ে গেলে চলবে না। এর পিছনে বড় চক্রান্ত থাকতে পারে। ' 


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


 আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। তবে তার পাশাপাশি 'হিংসা', 'অশান্তি'-র ঘটনাতেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সক্রিয় তদন্ত চালাচ্ছে। এবং সেদিক থেকে বগটুই মামলায় প্রথমে রাজ্য পুলিশের 'সিট' তদন্ত শুরু করলেও পরে পট পরিবর্তন হয়। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী মামলাতেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারই তদন্তে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। আর এবার  এগরাকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর আগাম আপত্তি না থাকার কথাতেই কি বদলাল সমীকরণ ? গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে।