কলকাতা: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, নার্সিংহোমে ঝুলল তালা। একবালপুরের বেলোনা নার্সিংহোমে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ। একবালপুরের বেলোনা নার্সিংহোমে তালা ঝোলালো স্বাস্থ্য কমিশন। গরহাজির চিকিৎসক, প্রসূতিকে ইনঞ্জেকশন চিকিৎসকের সহকারির । ইনঞ্জেকশন দেওয়ার পরই গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু, অভিযোগ পরিবারের।
প্রসূতিকে ব্যথা কমানোর ইনঞ্জেকশন দেন চিকিৎসকের সহকারি, খবর সূত্রের। RMO পরিচয়ে অবিনাশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি রোগীকে দেখেন। প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখেন ও ইনজেকশন দেন বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ কমিশনের। আপাতত ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নার্সিংহোম বন্ধ রাখার নির্দেশ।
বছর দুই আগে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে, কলকাতার একটি নামী হাসপাতালকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল স্বাস্থ্য কমিশন। চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলাতেই জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য কমিশন।স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে খবর এসেছিল, সকাল ১১ টায় পেটে ব্যথা নিয়ে এক প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে দাবি প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলেও তাঁকে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ভর্তি না করে তাঁকে এর সার্জারি বিভাগের এক চিকিৎসকের আন্ডারে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রের খবর, ওই দিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছিল প্রসূতির। এমআরআই-এ মৃত্যু হয়েছিল বলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিতলির অভিযোগ তোলে পরিবার। এরপরেই পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। শুরু হয়েছিল তদন্ত। সমস্ত কাগজ-পত্র এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছিল স্বাস্থ্য কমিশন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মৃতার পরিবার অর্থাৎ দু-পক্ষের সঙ্গেই কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছিল কমিশন। এর পরেই হাসপাতালের ত্রুটির কথা নিশ্চিত করা হয় এবং ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)