কলকাতা: রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন বা SIR-র কাজ চলছে। সেই আবহেই ৪ ডিসেম্বরের মধ্য়ে সকলকে এনুমারেশন ফর্ম জমা দিতে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ফর্ম জমা না পড়লে সংশ্লিষ্ট ভোটার 'অসংগৃহীত' শ্রেণিতে পড়বেন বলে জানানো হল। পাশাপাশি, একজন বৈধ ভোটারও যাতে তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, সেই নির্দেশও দিল কমিশন। (SIR in Bengal)

Continues below advertisement


কলকাতায় সিইও অফিসের বাইরে যখন বিক্ষোভ অব্যাহত, সেই সময়ই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। বিশেষ রোল অবজার্ভার সুব্রত গুপ্ত ও ১২ জন SIR পর্যবেক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। ভোটার তালিকায় সংশোধন নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয় বিশদে। মালদা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও দুই ২৪ পরগনায় বিশেষ SIR পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে সেই নিয়ে সিইও দফতরে দিনভর বৈঠক হয়। সকালেই সেখানে চলে আসেন সুব্রত, বাকিরাও চলে আসেন সেখানে। (SIR in West Bengal)


সিইও দফতর থেকেই সকলকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের। সেখানে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পরিষ্কার জানান, ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম জমা না দিলে সেই সব ভোটার 'অসংগৃহীত' শ্রেণিতে পড়বেন। জানা গিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, শিলিগুড়ি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার মতো শহরাঞ্চলে এখনও অনেক ভোটার এনুমারেশন ফর্ম জমা দেননি। BLO বললেও নানা কারণে দেরি করছেন। তাই ৪ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে ফর্ম জমা না দিলে, তাঁদের 'আনকালেক্টেবল' শ্রেণিতে পড়বেন।


নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম জমা না দিল, ৯ ডিসেম্বরের পর ফর্ম ৬ জমা দিতে হবে 'আনকালেক্টেবল' ভোটারদের। নতুন ভোটার হিসেবে পুনরায় আবেদন জানাতে হবে তাঁদের। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্পেশাল রোল অবজারভার সুব্রত জানিয়েছেন, কোনও বৈধ ভোটার যেন বাদ না যান। কোনও অবৈধ ভোটারও যেন সংযুক্ত না হন।


কমিশনের বৈঠক চলাকালীনই এদিন সিইও দফতরের বাইরে তৃণমূলপন্থী BLO সংগঠন বিক্ষোভ দেখায়। বৈঠক শেষে বেরোনোর সময় CEO-র গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েও বিক্ষোভ দেখান কয়েক জন। সোমবার প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত ঘেরাও ছিলেন CEO। শনিবার তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিক্ষুব্ধরা। খড়গ্রামে মৃত BLO-র পরিবারকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সকলে। ভিতরে ঢুকতে পুলিশের বাধা দেওয়া হলে তৃণমূলপন্থী সংগঠনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে সকলের। 


অন্য দিকে, আজ ফের জ্ঞানেশ কুমারকে আক্রমণ করে তৃণমূল। প্রতিমা মণ্ডল বলেন, "SIR আতঙ্কে ভোটার-বিএলও-দের মৃত্যুর অভিযোগ, দায় নির্বাচন কমিশনের। তৃণমূলের ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। জ্ঞানেশ কুমারের হাতে রক্ত লেগে রয়েছে।"