অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ফের গর্তে পড়ে গেল এক হস্তি শাবক (Baby elephant)। তবে বন দফতরের কর্মীদের (forest department) উদ্যোগে তাকে উদ্ধার করা গেল। তারপরে তাকে হাতির দলের কাছে ফিরিয়ে দিতেও সম্ভব হয়েছেন কর্মীরা।
হাতির শাবক উদ্ধার
গর্তে পড়ে যাওয়া হস্তি শাবককে উদ্ধার করল বন দফতরের কর্মীরা। দলছুট শিশু হাতিকে উদ্ধার করে সুস্থ অবস্থায় হাতির দলে ফিরিয়ে দেওয়াও সম্ভব হয়েছে বলে দাবি বন দফতরের।
সোমবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত নিমাতি রেঞ্জ এলাকায়। জানা যায়, গভীর রাতে একটি হাতির দল নিমাতি এলাকায় বেরিয়ে আসলে গর্তে পড়ে যায় একটি হস্তি শাবক। রাত দেড়টা নাগাদ শাবকের চিৎকারে নজরে আসে টহলরত বনকর্মীদের। তারা খবর দেয় উদ্ধারকারী দলকে। বনকর্মীদের খবরে ছুটে আসে উদ্ধারকারী দল। জেসিবি দিয়ে মাটি কেটে সারা রাত চলে উদ্ধার কাজ।
শেষমেশ, ভোর ৫টা নাগাদ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয় হস্তি শাবকটিকে। তাকে নিমাতি রেঞ্জের ১-বি কম্পার্টমেন্ট এলাকায় অপেক্ষারত হাতির দলের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পারভীন কাসওয়ান।
দিন কয়েক আগে, শাবকের মৃত্যুর পরও তাকে শুঁড়ে জড়িয়ে চাবাগানে ঘুরছিল এক মা হাতি। মৃত্যুর পরও একমুহূর্ত বাচ্চাকে কোল ছাড়া করতে চায়নি মা। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) চা বাগানে মর্মান্তিক দৃশ্য ধরা পড়েছিল এবিপি আনন্দের ক্যামেরায়। মা হাতিটি হয়ত ভাবছিল যে কোনও না কোনওভাবে ঠিক জেগে উঠবে শাবকটি। সকাল থেকে রোদ, বৃষ্টির মধ্যেই মৃত শাবককে আঁকড়ে ধরে ছিল মা হাতি, সেই সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ৩০-৩৫ টি হাতির দল। অবশেষে প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর মৃত শাবক হাতিকে ছেড়ে যায় মা হাতি। দুপুরে মৃত শাবককে ছেড়ে কিছুটা দূরে সরে যায় মা হাতি। সেই সময় সুযোগ বুঝে বনকর্মীরা মৃত শাবককে উদ্ধার করার জন্য আসরে নামে। চারদিনের মাথায় শাবকটিকে উদ্ধারের পর দেখা যায় শাবকটির পচন ধরতে শুরু করেছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান মৃত শাবকটি স্ত্রী শাবক ছিল। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে সেই মা হাতিটি সহ আরও কয়েকটি হাতির পাল সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের দিকে নজর রেখেছেন বনকর্মীরা।