কলকাতা: বেনিয়াপুকুরে উদ্ধার হওয়া ৪ কোটি টাকা নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুল্ক দফতরের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল তারা। ইডি সূত্রে খবর, ৪ কোটি টাকা কোথা থেকে, কী কারণে আনা হয়েছিল, হাওয়ালা-যোগ অথবা জঙ্গিদের সাহায্য করতে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ আনা হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনায় ধৃত ২ জনের সম্পর্কে শুল্ক দফতরের কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে ইডি। খবর সূত্রের শনিবার বেনিয়াপুকুর থেকে নগদ ৪ কোটি টাকা উদ্ধার করে শুল্ক দফতর।
এর আগেও কলকাতা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩৫ কোটি টাকার মাদক। ২ মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। বাজেয়াপ্ত করা হয় পাচারকারীদের মোটরবাইক।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তপসিয়ার ৪ নম্বর ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৭ কেজি হেরোইন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয় এন্টালি ও বেনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা দুই পাচারকারীকে। কোথা থেকে মাদক আনা হয়েছিল, কোথায় পাঠানো হচ্ছিল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে, গত ২ মার্চ, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে ২৫ কোটি টাকা মূল্যের মাদক উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গাড়িতে করে মাদক নিয়ে আসা হচ্ছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে গতকাল রসুলপুর বাজারে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তল্লাশিতে মেলে প্রায় ৫ কেজি হেরোইন। যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা।
ধৃত সুনীল হাওলাদার আউশগ্রামের বাসিন্দা। নেপথ্যে বড়সড় মাদক পাচার চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। মাদকের পাশাপাশি, ভোটের মুখে কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা-অস্ত্রও।
এদিনই তিলজলা থেকে উদ্ধার হল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মসজিদ বাড়ি লেনে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। কড়েয়া থানা এলাকার শিবতলা খালপাড়ে সিইএসসি-র একটি ট্রান্সফর্মারের পিছন থেকে উদ্ধার হয় ২২টি তাজা বোমা। ভোটের আগে বোমা মজুত করা হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।