কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ (Students Deadbody) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। আসানসোলের (Asansol) হিরাপুর থানার অন্তর্গত নিউটাউন এলাকায় (Newtown)। মৃত আদিবাসী ছাত্রীর নাম কোয়েল হাসদা বয়স ২২ বছর।


মঙ্গলবার রাত্রে বেলায় এই মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিশ জানিয়েছে নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী। পুলিশ মৃতদেহর খবর পেয়ে নিউটাউন ১২ নম্বর রাস্তা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। আজ তার ময়নাতদন্ত হবে। প্রসঙ্গত, গতবছর নাকতলায় কলেজ ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।  লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তাঁর নিজের ফ্ল্যাটেই মিলেছিল দেহ।


পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছিল, সবার সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনালও দেখেছিল ওই ছাত্রী। ভোরবেলায় ডাকাডাকিতে সাড়া না পাওয়ায়, দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। ঘটনায় নেতাজিনগর থানা তদন্তে নামে। ইতিমধ্যে ঘর থেকে একটি ডায়েরি  উদ্ধার হয়েছিল, সেই ডায়েরিতে লেখা 'কেউ ভালবাসে না, কিছু করতে পারছি না'। পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই ছাত্রী।


গত বছর নভেম্বরেও সামনে এসেছিল মর্মান্তিক আরও একটি ঘটনা। জনবসতি এলাকায় উদ্ধার হয়েছিল পচাগলা দেহ। উত্তর ২৪ পরগনায় অশোকনগর থানার হিজলিয়া এলাকায় অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ভ্যাটের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ। এলাকাটি হাবরা-নৈহাটি রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান ওই এলাকায় বাইরে থেকে কেউ বা কারা দেহটি ফেলে গিয়েছে। 


উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরেই একটি মেস থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক কলেজ পড়ুয়ার দেহ। দেহের গলা ও দেহে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছিল। খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ক্ষতবিক্ষত দেহ। ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া উদ্ধব সরকার পড়তেন অশোকনগর নার্সিং ট্রেনিং কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা এলাকার কচুয়ায় এই বাড়িতে মেস করে থাকতেন নিহত পড়ুয়া উদ্ধব সহ ৪ জন। ৪ জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২ জন বাড়ি চলে যান। মেসে ছিলেন উদ্ধব ও বিক্রম সরকার।  


আরও পড়ুন, আজ মমতার পাল্টা ধর্নায় বসছেন শুভেন্দুরাও


স্থানীয় সূত্রে দাবি, বিক্রমকে মেসে তালা দিয়ে চলে যেতে দেখা গিয়েছিল। তারপরে টানা ফোন করেও উদ্ধবের বাড়ির লোকজন তাঁকে পাননি। মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। তাঁরাই খবর দেন মেসের মালিককে। মেস মালিক পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।