ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ভাল আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharjee)। প্রায় আড়াই দিন অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে না বুদ্ধবাবুকে। কিন্তু তার পরেও সম্পূর্ণ সংক্রমণমুক্ত রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধবাবুর সব রক্ত পরীক্ষার (Blood Report) রিপোর্ট চিকিৎসকদের মতে সন্তোষজনক। তাঁকে বিছানা থেকে তুলে হাঁটা-চলা করানোর প্রয়াস শুরু হয়েছে। মুখ দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা চলছে। আজ আবার মিলিত হবেন মেডিক্যাল বোর্ডের (Medical board) চিকিৎসকরা। আলোচনার পরেই কবে তাঁকে বাড়ি পাঠানো যায় সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 


শারীরিক অবস্থা...
২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সে বারও অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে বাড়ি ফিরে আসেন। এবারও যে তাই হবে, সে ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন রাজনৈতিক সতীর্থরা। এবার ফুসফুসে সংক্রমণ-সহ বেশ কিছু সমস্যার জেরে আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। যার জেরে দু'দিন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখতে হয় তাঁকে। কিন্তু ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয় বুদ্ধবাবুকে। তার পর থেকে ধাপে ধাপে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে তাঁর, এমনই দাবি চিকিৎসকদের।  যে সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলেন, তা থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে খবর আসে দিনদুয়েক আগে। সংক্রমণ-মুক্ত হওয়ায় বন্ধ হয় অ্যান্টিবায়োটিক। তবে তার পর থেকে দু'দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া হবে, তা নিয়ে আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে খবর। তার আগে বিছালা থেকে তুলে তাঁকে হাঁটাচলা করানোর চেষ্টা চলছে। 
কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিজের শয্যায় উঠে বসেন বুদ্ধবাবু। কখনও সখনও গুনগুন করে গাইছেন রবীন্দ্রসঙ্গীও। রাইলস টিউব লাগানো থাকলেও, রবিবার নিজে থেকে স্যুপও গলায় ঢালেন তিনি।তবে হাসপাতাল সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, তাঁর শরীর থেকে খুলে ফেলা হয়েছে সেন্ট্রাল লাইন এবং সব চ্যানেল। সব মিলিয়ে আশার বার্তা ছিল কয়েকদিন আগে থেকেই। এবার শুধু বাড়ি ফেরার অপেক্ষা, মনে করছেন সতীর্থরা।


রাজনৈতিক বিতর্ক...
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা ঘিরে যখন দলমত নির্বিশেষে অনেকেই চিন্তিত, তখনই বিতর্কিত মন্তব্য শোনা যায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মুখে। অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে বেলাগাম আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেন, 'যে আদিখ্যেতা করে তাঁকে অতিমানব বানানো হচ্ছে, তার প্রতিবাদ করছি। তাঁর জমানায় যে সন্ত্রাস গণহত্যা চলেছে, তা এ যুগে মনে করিয়ে দেয়া উচিত।' অথচ, তাঁরই দলীয় সতীর্থদের মুখে শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। শুধু তাই নয়। কয়েক বছর আগে স্বয়ং কুণাল ঘোষেরই প্রকাশিত বইতে বুদ্ধবাবুকে নিয়ে অকুণ্ঠ প্রশংসা ছিল। হঠাৎ কেন এমন অবস্থান কুণালের? এই নিয়ে মাথাচাড়া দেয় বিতর্ক। 


আরও পড়ুন:সৌরনীলের মৃত্যুতে এখনও হাহাকার, সরেছেন হকাররাও, পার্থর দফতর সরাতে রা কাড়ছেন না কেউ