কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন অবসরপ্রাপ্ত IAS তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব অর্ধেন্দু সেন (Ardhendu Sen On Corruption)। খোলাখুলি জানালেন, তাঁর চোখে বাম ও তৃণমূল জমানায় ফারাক কোথায়। সেই সঙ্গে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে।
কী বললেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব?
এদিন তিনি বলেন, “আমার তো সবসময়ই মনে হয় সেই, সেই যুগটাই ভাল ছিল। প্রথম যে তফাত সেটা হচ্ছে দুর্নীতি। এতটা দুর্নীতি রাজ্য আগে কোনওদিন দেখেছে বলে মনে হয়না। বাকিসব যেগুলো হচ্ছে, সাফারিং অফ দ্য টিচারর্স, সাফারিং অফ দি মিউনিসিপাল ওয়ার্কার্স, আদার ওয়ার্কার্স, হচ্ছে এই দুর্নীতির ফলআউট হিসেবে।’’
শীর্ষনেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam ) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন। রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এছাড়াও জেলে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এবং প্রাক্তন পুরপ্রধান। গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রাজ্যের শাসক দলের এতজন নেতার গ্রেফতারির প্রেক্ষাপটে, শীর্ষনেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েই সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্য়সচিব। তিনি বলেন, “মন্ত্রীর লেভেলে যখন দুর্নীতি হয়, সেটা চেক করা সামাল দেওয়া প্রশাসনের পক্ষে সবসময় কঠিন। সেইজন্য আমরা এতদিন, খুব আনন্দে ছিলাম যে আমাদের রাজ্য়ে অন্তত টপ লেভেলের যে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তারা দুর্নীতি মুক্ত। দুর্নীতি মুক্ত। অনেককিছুই ডিপেন্ড করে নেতৃত্বের উপর। নেতৃত্ব ঠিক না থাকলে, সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দেয়।’’
একই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। দুর্নীতি ছাড়া রাজ্য কীভাবে চালানো সেই দৃষ্টান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্থাপন করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। তাঁর কথায়, “তখন বুদ্ধবাবু ছিলেন, এটাই সুবিধা ছিল। দুর্নীতি ছাড়া কী করে সরকার চালানো যায়, সেই দৃষ্টান্ত রাখতে পেরেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দুর্ভাগ্যবশত সেই দৃষ্টান্ত রাখছেন না। রাখার চেষ্টা করছেন না।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।