সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর: নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে শিশু বদলের (Child exchange) অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar dinajpur) জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার রামগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। 


আরও পড়ুন: Alipurduar News: আলুর গাড়ি আটকে রাখার অভিযোগ, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ অসম-বাংলা সীমান্তে


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ইসলামপুর ব্লকের বগলিগছ এলাকার বাসিন্দা মর্জিনা খাতুন প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রামগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রাত আটটা নাগাদ মর্জিনা খাতুন একটি সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর পরিবারকে একটি কন্যা সন্তান দেখানোও হয়। 


আরও পড়ুন: Bankura News: শালি নদীর জল নামতেই বিপর্যয় ! সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বাঁকুড়ায় প্রায় ৫০ টি গ্রাম


কিন্তু, পরবর্তী সময়ে ওই বেসরকারি কর্তৃপক্ষ অন্য একটি সদ্যোজাত পুত্র সন্তানকে তাদেঁর হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠি উঠিয়ে তাড়া করতেও দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি,কোনও শিশু বদল হয়নি। নার্সিংহোমের মাসিদের ভুলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।


শিশুটির পরিবারের লোকেরা বিষয়টি জানার পরেই নার্সিংহোমেের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় তাঁদের। নিমিষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। কীভাবে শিশু বদলের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিশুর পরিবারের লোকেরা। বিষয়টির দোষ মাসিদের ঘাড়ে চাপিয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে তা জানতে চাওয়া হয়। এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্র কাজ করছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গা পৌঁছায় যে শিশুটির পরিবারকে শান্ত করার জন্য নার্সিংহোমের নিরাপত্তা রক্ষীরা বাড়ির লোকেদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। যদিও তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেয়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: RG Kar Doctor's Death: আরজিকরে DC নর্থ, 'মহিলা চিকিৎসক খুনে আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে